
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
কয়েকদিন ধরেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশ লাগোয়া মায়নমারের রাখাইন প্রদেশ। এই আবহে আরাকান আর্মি ফের তৎপর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কক্সবাজারের খুরুশকুল থেকে উদ্ধার হল মায়নমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির ৬০ জোড়া ইউনিফর্ম। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ও কৌতুহল ছড়িয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৩ মার্চ খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়া ঘাটে অভিযান চালিয়ে এই সব ইউনিফর্ম উদ্ধার করে ব়্যাব। ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ভারতের 'রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফ্ট' হ্যাক করেছে চিন? মুখ খুলল সেনা)
আরও পড়ুন: বিতর্কের আবহে অভ্যুত্থান নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশি সেনা প্রধান খোদ, বললেন...
এই বিষয়ে তদন্ত করে ব়্যাবের তরফ থেকে দাবি করা হয়, আরাকান আর্মির পোশাক রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় পৌঁছানো হচ্ছিল। বিভিন্ন অন্তরঘাতমূলক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করার জন্যেই এই পোশাক তৈরি করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছিল। এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত নূর মহম্মদ। তবে এই নূর পলাতক বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: ভিড় স্টেশনে বাবা-মেয়েকে গুলি করে খুন, আত্মঘাতী যুবক, হতবাক হয়ে দেখলেন যাত্রীরা)
এর আগে মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের আবহে বাংলাদেশ সীমান্তে মাঝেমাঝেই বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছিল। এদিকে সীমান্তের ওপারের অশান্তির আঁচ এসে পড়ছে বাংলাদেশেও। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেছিলেন, মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে আছে তারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে রাখাইনে জুন্তা বাহিনীর ঘাঁটি নিশানা করে হামলা শুরু করেছিল আরাকান আর্মি। এই আবহে রাখাইন প্রদেশের ১৭টি শহরের মধ্যে ১২টিরই দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এদিকে মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। এর আগে মংডু শহর দখলের সঙ্গে সঙ্গেই সেই ২৭০ কিলোমিটারের পুরোটাই দখলে চলে গিয়েছে আরাকান আর্মির। বর্তমানে রাখাইন প্রদেশের সিত্তে শহরটি জুন্তার দখলে রয়েছে। তবে প্রদেশের অধিকাংশের ওপরই জুন্তার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মাঝে মধ্যেই এয়ারস্ট্রাইক করছে জুন্তা।
এদিকে রাখাইন প্রদেশে এখনও প্রায় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা আছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে রোহিঙ্গারা আপাতত জুন্তাকে সমর্থন করছে। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে অনেক রোহিঙ্গা দেশে ফিরে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। আবার আরাকান আর্মিও নাফ নদের তীরে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই আবহে গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে প্রায় লাখের কাছাকাছি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস নিজে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্তে বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এর মাঝেও সম্প্রতি আরাকান আর্মির হাতে আটক হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি। পরে আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে এনেছিল বিজিবি। এদিকে এর আগে জানুয়ারি মাসেই চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছিল মায়ানমার সেনার ১২ জন সদস্য। এছাড়াও এর মধ্যে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টাও জারি থেকেছে বিভিন্ন জায়গায়।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports