২৩ বছর বয়সী গাড়িচালক খোকন গতবছর ৫ আগস্ট ঢাকায় গণ অভ্যুত্থানের সময় গুরুতরভাবে আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর ঠোঁট,মুখ,নাকের মাংস ঝুলে পড়ে। রক্তারক্তি অবস্থাতেও একজনকে অবলম্বন করে তিনি বাড়ির লোকজনকে নিজের অবস্থার কথা জানান।
জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে জখম হন খোকন চন্দ্র বর্মণ। এই আঘাতে তাঁর মুখমণ্ডলের ওপরের ঠোঁট, মাড়ি, নাক, তালু এবং একটি চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে মুখের কেন্দ্রে একটি বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। সরকারি সহায়তায় তাঁর চিকিৎসা চলছে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁর নাক পুনর্গঠনের জন্য একটি জটিল অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা করেছেন।
আরও পড়ুন - Garam Masala: রান্নায় কখন গরম মশলা দিলে স্বাদ খুলবে, আগে না পরে? জেনে নিন
চিকিৎসকরা খোকনের শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে টিস্যু সংগ্রহ করে নাক পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর পাঁজরের হাড় থেকে নাকের কাঠামো তৈরি করা হবে এবং কপালের চামড়া ব্যবহার করে নাকের বাইরের অংশ গঠিত হবে। এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও সময়সাপেক্ষ, যেখানে প্রতিটি ধাপ সাবধানতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি সহায়তায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে রাশিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে।
খোকনের মুখমণ্ডলের জটিল ক্ষত এবং টিস্যুর অভাবের কারণে অস্ত্রোপচারটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। রাশিয়ায় আসার পর খোকনের মুখে বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ধরা পড়ে, যার জন্য বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নিয়মিত ড্রেসিং চলছে। চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের পুনর্গঠনমূলক সার্জারিতে ধৈর্য ও দক্ষতার প্রয়োজন। প্রথমে পাঁজরের হাড় থেকে নাকের কাঠামো তৈরি করা হবে। এরপর কপালের চামড়া ব্যবহার করে নাকের বাইরের আবরণ তৈরি করা হবে, যা চেহারার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
তবে রাস্তায় বের হলেই খোকনের মুখ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন মানুষ। তাঁকে গজ কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে চলাফেরা করতে হচ্ছে এবং রাস্তাঘাটে নানারকম সমস্যারও সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যা মানসিকভাবে প্রভাব ফেলেছে খোকনের উপর।
আরও পড়ুন - Content Creator: কনটেন্ট ক্রিয়েটার হতে চান? কীভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না! জেনে নিন