পুলিশের তরফে আবেদন ছিল, কারও কাছে মারার ভিডিয়ো থাকলে তা যেন পাঠানো হয় লালবাজারের দফতরে। কিন্তু লালবাজার সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তেমন কোনও ভিডিয়ো এসে পৌঁছায়নি। প্রসঙ্গত, পুলিশের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারার অভিযোগ করেছিলেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা। পুলিশ কমিশনারকে তিনি ইমেল করেন। নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ নথিভুক্ত হয়। অভয়ার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে জেনারেল ডায়েরি করে তদন্ত শুরু হয়।
ঠিক কী অভিযোগ ছিল অভয়ার বাবার?
আরজি করে নির্যাতিতার বাবার কথায়, কিড স্ট্রিট এবং জওহরলাল নেহরু রোড ক্রসিংয়ের কাছে নবান্ন অভিযানের দিন দুপুর ২টো নাগাদ কয়েক জন পুলিশকর্মী অভয়ার মার ডান হাত টেনে ধরেন। পুলিশের টানের হাতের শাঁখা ভেঙে যায় বলে দাবি। এর পরেই অভয়ার মায়ের মাথায় এবং পিঠে লাঠি দিয়ে পুলিশ মারে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা।
আরও পড়ুন - চোখের সামনে ঝলসে গেল যুবক, ‘ভিডিয়ো বানাচ্ছে পুলিশ’, সল্টলেকে জনতার ইটবৃষ্টি
চরম হয়রানি অভিযোগ জানাতে গিয়ে
আরজি করে নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ জানাতে গিয়েও হয়রানির শিকার হন বলে দাবি। তাঁর কথায়, প্রথমে শেক্সপিয়র সরণি থানায় মেল করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। তার পর সেখান থেকে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। এর পর অভয়ার বাবা সরাসরি পুলিশের সিপি মনোজকুমার বর্মাকে মেল করেন। সঙ্গে একাধিক পুলিশ আধিকারিককেও জানান ঘটনাটি। তার পরেই জানা যায়, নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ গৃহীত হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন - কোভিডের পর থেকেই অঙ্গ প্রতিস্থাপনে আগ্রহ পাচ্ছেন রোগীরা? আলোচনায় চিকিৎসক
কী বলছে পুলিশ?
পুলিশ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বলে, ‘৪০০-৫০০ জন লোক ডোরিনা ক্রসিংয়ের সামনে জড়ো হয়ে পার্ক স্ট্রিটের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন। জমায়েত থেকে পুলিশকে খারাপ কথা বলা হয়। এমনকি পুলিশকে মারধর করেন অনেকে।’ মারধর করার সেই ছবি পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে দেখায়। দাবি, এর পরেই পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।