অনেকেই শরীর চর্চার পর নানা রকমের সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এগুলি সাময়িক ভাবে মনের মতো ফিগার পেতে সাহায্য করলেও, ভবিষতে এর থেকে নানা রকমের সমস্যাও দেখা দেওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাছাড়া অনেক সময় এই সব সাপ্লিমেন্টের দামও হয় বেশ অনেকটাই। যা হয়তো সবার পক্ষে কেনা সম্ভব হয় না। তবে তাতে চিন্তার কিছু নেই, হাতের কাছে থাকা এই দুই উপাদানেই পেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত চেহারা। কী সেই উপাদান? ছোলা ও গুড়।
আখাড়াগুলোর দিকে নজর রাখলে, এখনও দেখা যায় শরীরচর্চার পর সকলে সাপ্লিমেন্টের পরিবর্তে গুড় ও ছোলা খাচ্ছেন। কারণ এই দুই উপাদানই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পাশাপাশি শরীরে শক্তিও জোগায়। গুড়ের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি। অন্যদিকে, ছোলায় রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, মিনারেল এবং পটাসিয়াম।
আরও পড়ুন: রান্নাঘরের ১টি মশলাতেই হবে কামাল! গরম জলের সঙ্গে রোজ খেলে হুহু করে ঝড়বে মেদ, কমবে কোলেস্টেরলও
তাছাড়াও ছোলা ও গুড়ের গ্লাইসেমিক সূচকও কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীরাও ছোলা-গুড় খেতে পারেন। নির্দিষ্ট মাত্রায় গুড়ের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে ছোলা খেলে তাঁদের ক্ষতি তো হয় না, পরিবর্তে হয় উপকার। এতে উপস্থিত ফোলেট এবং জিঙ্ক শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ছোলায় রয়েছে অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট, যা ত্বকের তারণ্য বজায় রাখে।
আরও পড়ুন: ডায়াবিটিস কমাতে পারে জাম, ফেরায় ত্বকের জেল্লা! চোখের সমস্যা থেকেও দেয় মুক্তি
এই দুটি উপাদান নিয়মিত খেলে শরীরের মাংসপেশি মজবুত হয়, সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ছোলা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ছোলায় প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালসিয়ামই কেবল নেই, এটি আয়রনেরও একটি ভালো উৎস। আয়রন শরীরে হিমগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখে। তাই ছোলা-গুড় রক্তস্বল্পতাও দূর করে। এছাড়াও ছোলায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে।
ছোলা ও গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। যা পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এগুলি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায়, চট করে খিদেও পায় না। তাই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ছোলা-গুড় খেলে তা ওজনও নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া গুড় ও ছোলা খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও এড়ানো যায়। গুড় ও ছোলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কারণ এই দুটিতে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।