রক্তে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। নাহলে ধেয়ে আসতে পারে বড় বিপদ। যদি কোনও ব্যক্তির রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়, তখন সেই অবস্থাকে হাইপোনাট্রেমিয়া বলে। আর, রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকলে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে। কোষে উপস্থিত জলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এই ইলেক্ট্রোলাইট। ডায়রিয়া, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, পেশীর কার্যকারিতা হ্রাস এবং স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে ক্ষেত্রে মহাবিপাকে পড়তে পারেন হাইপোনাট্রেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি। এ ছাড়া আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: (Guillain-Barre Syndrome: ভাত, পনির যাবে না খাওয়া! ভারতের এই রাজ্যে ত্রাস ছড়াচ্ছে গুলেন বারে সিনড্রোম)
হাইপোনেট্রেমিয়া হলে কী কী ধরনের ঝুঁকি আসতে পারে
মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় প্রভাব
কম সোডিয়াম মাত্রা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এর কারণে ব্যক্তির মাথাব্যথা, কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে অসুবিধা এবং জিনিস মনে রাখতে সমস্যা হতে পারে।
সেরিব্রাল এডিমা
হাইপোনেট্রেমিয়া থাকলে ব্যক্তির মস্তিষ্ক ফুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে এই অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারে।
খিঁচুনি
খুব কম সোডিয়ামের মাত্রা মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করতে পারে। এই কারণে, ব্যক্তির খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পেশীর দুর্বলতা
হাইপোনাট্রেমিয়া পেশী ফাংশনকে প্রভাবিত করে। এটি পেশী দুর্বলতা, ক্র্যাম্প এবং ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এই অবস্থায়, ব্যক্তি সামান্য কাজ করার পরেও ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করে।
স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি
গুরুতর হাইপোনাট্রেমিয়ায় ব্যক্তির রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে। এ কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রধানত বয়স্কদের মধ্যে এই স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হাইপোনাট্রেমিয়া প্রতিরোধ করবেন কীভাবে
- আপনার যদি কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকে তবে সময়ে সময়ে আপনার সোডিয়ামের মাত্রা চেক করুন।
- আপনার ডাক্তারের পরামর্শ মেনে আপনার খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন করতে পারেন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান। খুব বেশি বা খুব কম জল খাবেন না।
- ডায়রিয়া বা বমি হলে ইলেক্ট্রোলাইট খাওয়া যেতেই পারে।
আরও পড়ুন: (Weight Loss tips: ভুঁড়ি কিছুতেই কমছে না? ঝটপট ওজন কমাতে এই সবজিগুলির জুস দারুন উপকারি)
মনে রাখবেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাইপোনাট্রেমিয়া একটি গুরুতর অবস্থা হতে পারে। তাই এই রোগকে উপেক্ষা করা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। তবে, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পর্যাপ্ত জীবনধারা মেনে চললে এই রোগের তীব্রতা কমে যাবে। তাও আপনি যদি নিজের মধ্যে বা চেনা মানুষের মধ্যে হাইপোনেট্রেমিয়ার উপসর্গ দেখতে পান, অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো জরুরি।