ত্রাস ছড়াচ্ছে জিবিএস তথা গুলেন বারে সিনড্রোম। সম্প্রতি মুম্বইয়ের পুণেতে ১০০ জনের বেশি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের অনুমান সংক্রমিত খাবার বা জল এর নেপথ্যে রয়েছে। মূলত একটি ব্যাকটেরিয়া অল্পসিদ্ধ বা কাঁচা খাবার, অপরিশুদ্ধ জলের মাধ্যমে একজনের থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। পরবর্তীকালে ছড়িয়ে পড়া ব্যাকটেরিয়া থেকেই জন্ম নিচ্ছে জিবিএস।
জিবিএস বা গুলেন বারে সিনড্রোম আদতে কী
চিকিৎসকদের কথায়, জিবিএস বা গুলেন বারে সিনড্রোম একটি অটোইমিউন রোগ। কখনও কখনও আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই আমাদের শত্রু হয়ে ওঠে। জিবিএস ঠিক তাই। এই রোগে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেহের স্নায়ুগুলিকে আক্রমণ করে। ফলে বেশ কিছু স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগ নানাভাবে হতে পারে। তবে মনে করা হচ্ছে, পুণেতে ক্যাম্পিলোব্যাকটার জেজুনি ব্যাকটেরিয়াই রোগটির নেপথ্যে।
আরও পড়ুন - চটজলদি সারবে ক্যানসার! রেডিয়োথেরাপির এই পদ্ধতিতে একেবারেই কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কীভাবে ছড়াচ্ছে ক্যাম্পিলোব্যাকটার জেজুনি
চিকিৎসকদের অনুমান, সংক্রমিত জল ও খাবারের মধ্যে দিয়ে রোগ ছড়াচ্ছে। খাবারে সংক্রমণের একটা বড় কারণ কাঁচা বা অল্পসিদ্ধ খাবার। এই ধরনের খাবারে ব্যাকটেরিয়া জীবিত থাকে। এছাড়াও, পোলট্রি ফার্ম, অন্যের ব্যবহৃত বাসনকোসন, রান্নার সরঞ্জাম থেকেও ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে।
আরও পড়ুন - রাষ্ট্রপতি ভবনে কুছ কুছ হোতা হ্যায় গাইলেন ইন্দোনেশিয়ার অতিথিরা! ভাইরাল ভিডিয়ো
জিবিএস বা গুলেন বারে সিনড্রোমের লক্ষণ
- হাঁটতে অসুবিধা হওয়া
- শ্বাসকষ্ট
- কথা বলতে, খাবার চিবোতে বা গিলতে অসুবিধা বোধ করা
- হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়া
- মলমূত্রের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা
- রক্তচাপ ওঠানামা করা
জিবিএস বা গুলেন বারে সিনড্রোম কি সংক্রামক?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগটি অটোইমিউন রোগ। মানুষের থেকে মানুষে এটি ছড়ায় না। তবে ক্যাম্পিলোব্যাকটার জেজুনি ব্যাকটেরিয়া এক শরীর থেকে অন্য শরীরে সংক্রমিত হতে পারে খাবার বা জলের মাধ্যমে। পাশাপাশি আরেকটি মাধ্যম রান্নার সরঞ্জাম।
কেন এড়িয়ে চলবেন চিজ়, পনির, ভাত?
সম্প্রতি দিল্লি এইমসের চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা সেহরাওয়াত ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ভাত, পনির ও চিজ়ের মতো খাবার এই ব্যাকটেরিয়াকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই ব্যাকটেরিয়াকে নির্মূল করতেই এড়িয়ে চলতে হবে এই খাবারগুলি।