গত সপ্তাহেরই ঘটনা। জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্ট থেকে বেরোনোর সময় পাশেই বসেছিল জুলিয়া। বছর বারো বয়স, পায়ের সমস্যার কারণে হুইল চেয়ার ভরসা। ছয় দিনের বিশেষ কাজ নিয়ে নিউইয়র্ট গিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। কিশোরীর হাসিমুখ দেখে এগিয়ে গেলেন তাঁর দিকে। আলতো হাতে ছুঁয়ে দিলেন চিবুক। আশীর্বাদ করলেন। সংবাদমাধ্যমকে জুলিয়ার মা জোসেফিন বলেন, লাইম ডিজিজ নামে এক রোগে আক্রান্ত জুলিয়া। তার পায়ের রোগটি প্রথমে চিকিৎসকরা ধরতে পারেননি। তাই বোঝা যাচ্ছিল না কীভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব। জোসেফিনের বিশ্বাস ছিল, পোপের স্পর্শ পেলেই সুস্থ হয়ে উঠবে তাঁর মেয়ে। সেই চিন্তা থেকেই এয়ারপোর্ট গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জোসেফিন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, পোপের স্পর্শ পাওয়ার ৫ দিন পরই চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়েছিল একটি টেস্টের জন্য। আশ্চর্যজনক ভাবে সেই দিনই রোগটার হদিশ পেয়ে গেলেন চিকিৎসকরা। দেখা গেল, ওই রোগ ওষুধ খেয়েই সারিয়ে তোলা সম্ভব। এ যদি মিরাকল না হয়, তবে আর কীই বা মিরাকল!
আরও পড়ুন - Pope Francis: মনের আঙিনা ছুঁয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস, ফিরে দেখা তাঁর জীবনসফর থেকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ
মিরাকলের সংখ্যা নেহাত কম নয়
পোপ ফ্রান্সিসের হাতের ছোঁয়ায় ঘটে যাওয়া মিরাকলের সংখ্যা নেহাত কম নয়। গত মার্চ মাসের ঘটনা। সেন্ট জেনারোর রক্ত শুকিয়ে গিয়েছিল। চার্চ প্রশাসন জানিয়েছে, এই খবর পেয়েই সেখানে উপস্থিত হন পোপ ফ্রান্সিস। তাঁর প্রার্থনায় রক্ত তরলে পরিনত হয় কিছুক্ষণের মধ্যেই। গত মাসের আরেকটা ঘটনা যেমন এখনও ভাবাচ্ছে তিন মাসের শিশুর মা লিন ক্যাসিডিকে। তাঁর কথায় ঈশ্বরের স্পর্শ না থাকলে সম্ভব হত না ওই ঘটনা। কী ঘটনা?
আরও পড়ুন - Pope Francis Demise: পোপের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মোদী, শোকবার্তায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন বাকিদেরও
হার্টের একটা ফুটো উধাও
গত মাসে পোপ কিউবা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান তাঁর কাজে। সেখানেই হঠাৎ গাড়ি থামাতে বলেন মাঝপথে। রাস্তায় একটু পিছনে ছেড়ে আসা এক শিশুর কথা বলেন তাঁর আতসহায়ককে। বলেন, ‘ওই শিশুকে একবার নিয়ে এসো আমার কাছে’। যেমন কথা তেমন কাজ। শিশুটি আসার পর তার বুকে হাত ছুঁইয়ে দেন পোপ। ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ওই শিশুর হার্টে দুটো ফুটো ছিল। ঠিক এর পরেই যখন চিকিৎসকরা শিশুর পরীক্ষা করেন, দেখা যায়, হার্টের একটা ফুটো উধাও। অন্য ফুটোটি আগের থেকে ছোট হয়ে গিয়েছে! পোপের চলে যাওয়া স্বাভাবিকভাবেই তাই বেদনাদায়ক সারা বিশ্বের কাছে। এমনটাই মনে করছেন তাঁর বহু অনুরাগী।