ত্বকে জ্বালা নানা কারণে হতে পারে—শুষ্কতা, অতিরিক্ত স্কিনকেয়ার পণ্যের ব্যবহার, সূর্যের তাপ বা ক্লোরিনযুক্ত জলের সংস্পর্শে আসা। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এইচটি লাইফস্টাইলের একটি সাক্ষাৎকারে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সাগর গুজ্জার এবং ইকুরা স্কিনকেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কক্কর এই সমস্যার সমাধানে কয়েকটি কার্যকর পরামর্শ দিয়েছেন।
১. হাইড্রেটিং স্কিনকেয়ার রুটিন
ত্বকে জ্বালা হলে হাল্কা ও আর্দ্রতাযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করুন। pH ব্যালান্সড ক্লিনজার ব্যবহার করুন যা ত্বক শুষ্ক করে না। এরপর একটি হাইড্রেটিং ক্রিম ব্যবহার করুন যা আর্দ্রতা ধরে রাখবে। দিনে অন্তত SPF 30 যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। রাতে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড শিট মাস্ক ও স্যুটিং ক্রিম ব্যবহার করুন।
২. পেশাদার চিকিৎসা
ত্বকের জ্বালাপোড়া দ্রুত কমাতে প্রফেশনাল ট্রিটমেন্ট সাহায্য করতে পারে। এলইডি লাইট থেরাপি এবং মেডিকেটেড মাস্ক জ্বালা কমিয়ে ত্বক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। এক্সোসোম থেরাপি ক্ষত সারাতে এবং ত্বককে ঝকঝকে করে তুলতে কার্যকর।
৩. জীবনধারার পরিবর্তন
রোদে বের হলে সানব্লক ব্যবহার করুন। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি পণ্য ব্যবহার করুন। বেশি মেকআপ এবং ট্রিটমেন্ট এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ ত্বককে ভেতর থেকে মজবুত রাখে।
৪. হাইড্রেট থাকুন, গরম জল এড়িয়ে চলুন
প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান ত্বককে আর্দ্র রাখে। তবে গরম জল ত্বকের প্রাকৃতিক তেল কেড়ে নেয়, ফলে শুষ্কতা ও সংবেদনশীলতা বাড়ে। তাই গরম নয়, হাল্কা গরম জলে স্নান করাই ভালো।
৫. হাল্কা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন
বারবার মুখ ধোয়া বা হার্শ ক্লিনজার ব্যবহার ত্বকের প্রাকৃতিক স্তর নষ্ট করে।
টি ট্রি ও মিন্ট ফেসওয়াশ মৃদু পরিষ্কারে সহায়ক—টি ট্রি ব্যাকটেরিয়া দূর করে, মিন্ট জ্বালা কমায়।
৬. ভিটামিন সি-যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
ভিটামিন সি-যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ত্বককে আর্দ্র রাখ, সংবেদনশীলতা কমায় এবং গ্লো ফিরিয়ে আনে। দিনে দুইবার এটি ব্যবহার করলে ত্বক থাকবে নরম, সতেজ এবং জ্বালাবিহীন।
এই বিষয়গুলি মেনে চললে ত্বক চুলকানি বা জ্বালামুক্ত থাকবে।