
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
HT Bangla Special: ১৬ জানুয়ারি ভোর রাতে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার হয়েছিল প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। পাঁচ দিন পর চিকিৎসকদের পরামর্শেই লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সইফ আলি খান। বাড়ি যাওয়ার অনুমতি পেলেও আপাতত তাঁকে কিছুদিন বাড়িতেই থাকতে হবে। বাইরে বেরোতে পারবেন না। দু-তিনদিন শুয়ে থাকার নিদান দিয়েছেন চিকিৎসক।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, হাতে,ঘাড়ে, পিঠে ও মেরুদণ্ডের খুব কাছে আঘাত পান সইফ। আততায়ীর ছুরির ফলা ঢুকেছিল আড়াই ইঞ্চি ভিতরে। তীব্র ছুরিকাঘাতে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড বেরিয়ে আসে রীতিমতো। ওই অবস্থাতেই অটো করে হাসপাতাল চলে যান তিনি। তবে চিকিৎসকদের চেষ্টায় দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারছেন সইফকে। ঠিক কী ধরনের ক্ষত হয়েছিল সইফের শরীরে? কীভাবে এত দ্রুত ছাড়া পেলেন তিনি? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় এই বিষয়ে আলোচনা করলেন ফর্টিস হাসপাতালের নিউরোসার্জেন চিকিৎসক জিআর বিজয়কুমার।
আরও পড়ুন - Heart Disease: অবসাদ, উদ্বেগই কম বয়সে হার্টের রোগের কারণ? আলোচনায় প্রবীণ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক জানালেন, ‘বিভিন্ন খবর দেখে মেরুদণ্ডের ঠিক মাঝখান দিয়ে ছুরি চালানো হয়নি। মেরুদণ্ডের কিছুটা পাশ দিয়ে ছুরি বেরিয়ে যায়। সে কারণেই তিনি চলাফেরার মতো অবস্থায় ছিলেন। একইসঙ্গে অস্ত্রোপচার করে দ্রুত সারিয়ে তোলা সহজ হয়েছে। মেরুদণ্ডের মধ্যে আঘাত লাগলে প্যারালিসিস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। দ্রুত সেরে ওঠার পিছনে অবশ্যই গুরুত্ব রয়েছে অস্ত্রোপচার ও ওষুধের। যা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটা সাফল্য বলা যেতে পারে।’
ডুরা ম্যাটার অর্থাৎ মেরুদণ্ডের চারপাশ ঘিরে থাকা একটি পর্দায় আঘাত লেগেছিল সইফের। যার ফলে ওই পর্দাটি ছিঁড়ে যায়। সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড বা সিএসএফ তরল বেরিয়ে আসে। চিকিৎসক বিজয়কুমার জানাচ্ছেন, ‘এখানেও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি সাফল্য রয়েছে। কারণ বর্তমানে ডুরা অংশটির অল্টারনেটিভ পাওয়া যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ডুরা ম্য়াটারের জায়গায় চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের সময় সেটি পর্দার মতো লাগিয়ে দেন।’
আরও পড়ুন - HT Bangla Exclusive: গর্ভাবস্থায় মেরুদণ্ডে টিবি! বিরল অস্ত্রোপচারে সাফল্য কলকাতার হাসপাতালে
ডুরা ম্যাটারে আঘাত লাগায় সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড বেরিয়ে আসে। এই ফ্লুইড বা তরল কীভাবে রোগীর দেহে ফেরানো সম্ভব? এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক জানালেন মস্তিষ্কের ক্ষমতার কথা। তাঁর কথায়, ‘মস্তিষ্ক নিজে থেকেই এই তরল তৈরি করে। প্রতি ঘন্টায় ২০ সিসি বা মিলিলিটার পরিমাণে এই তরল তৈরি হয়। ফলে লিকেজের স্থানটি অস্ত্রোপচার করে ঠিক করে দিলে হলেও কয়েক ঘন্টা পর তরলের পরিমাণ ফের স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে যতক্ষণ ফ্লুইডের পরিমাণ কম থাকে বা লিকেজ হতে থাকে, ততক্ষণ প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করে।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports