রোজ রাত হলেই গোটা গ্রামের কারেন্ট চলে যায়। এক দিন নয়, দিনের পর দিন এই ঘটনা চলতেই থাকে। কী ব্যাপার কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না গ্রামবাসীরা। রোজ রাতে এই ঘটনা রীতিমতো অতিষ্ঠ করে তুলেছিল সবাইকে। এমনকী এই নিয়ে অভিযোগও জানানো হয় বিদ্যুতের অফিসে। সুরাহা মেলেনি। অবশেষে জানা গেল আসল সত্যিটা। গ্রামবাসীদের তৎপরতাতেই জানা গেল এই কারিগরির নেপথ্যের কে আছে। কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি বা বৈদ্যুতিক গোলযোগ নয়। এমনকী বিদ্যুৎ অফিসেরও কোনও গাফিলতি নেই এই ঘটনায়। বরং দায়ী গ্রামেরই একটি মেয়ে।
(আরও পড়ুন: বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে দশা হেঁশেলের ! ৪ উপায়ে ভালো রাখুন আপনার রান্নাঘর )
সম্প্রতি বিহারের বেটিয়া গ্রামে রোজ রাত হলেই কারেন্ট চলে যেত। এই নিয়ে ব্যতিব্যস্ত ছিলেন গ্রামবাসীরা। কেন, কী কারণে কারেন্ট যায় রোজ রাতে, তা কেউই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অবশেষে জানা যায়, এর জন্য দায়ী গ্রামেরই এক মেয়ে। মেয়েটি রোজ গোটা গ্রামের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। কেন? নিজের প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করবে বলেই এমনটা করে সে। এক দিন সেই প্রেমিককেই হাতে নাতে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। তার পরই গোটা ফন্দিটি ধরা পড়ে যায়। তবে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পরার সঙ্গে সঙ্গে মারও খেতে হয়েছে যুবকটিকে।
(আরও পড়ুন: কম কম খেলেই এড়ানো যাবে ভুলে যাওয়ার রোগ! গবেষণায় নয়া তথ্যের হদিশ বিজ্ঞানীদের )
প্রসঙ্গত, প্রথমদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও পরের দিকে গ্রামবাসীদের সন্দেহ দানা বাঁধে। গ্রামেরই কেউ যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা আন্দাজ করতে শুরু করেন কেউ কেউ। আর তখনই কোমর বেঁধে রহস্য উদ্ধারে নেমে যান। হাতেনাতে ধরা পড়ে মেয়েটি ও তার প্রেমিক। সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে বেটিয়া গ্রামের অধিবাসী গোবিন্দ চৌধুরি বলেন, প্রতি রাতেই একই ঘটনার সম্মুখীন হতে হত গ্রামবাসীকে। রোজ কারেন্ট যায় বলে গ্রামে চুরি ডাকাতির সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছিল। অবশেষে গ্রামবাসীরা নিজে থেকে সক্রিয় হতেই ধরা পড়ে আসল কালপ্রিট।