বিবেক অগ্নিহোত্রী আর বিতর্ক এখন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বেঙ্গল ফাইলস ছবি নিয়ে চরম বিতর্কে রয়েছেন পরিচালক। বাংলার ইতিহাসকে বিকৃত করে তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পর আরও একবার প্রোপাগান্ডা ছবি তৈরির অভিযোগেবিদ্ধ বিবেক। এর মাঝেই ফের বেফাঁস পরিচালক।
সম্প্রতি বিবেক অগ্নিহোত্রী জানিয়েছেন, তাঁর খাওয়ার অভ্যাস পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। সম্প্রতি স্ত্রীকে নিয়ে একটি ফুড-ট্রাভেল শো-তে গিয়েছিলেন তিনি। এখানে পল্লবী জানান, বিবেক মহারাষ্ট্রের খাবারকে গরিব কৃষকদের খাবার বলতেন। এর স্বাদ তার কখনোই ভালো লাগেনি। তবে এখন বিবেক সাধারণ খাবার খান কারণ এর স্বাস্থ্য উপকারিতা জানা যায়। বিবেক অগ্নিহোত্রী এবং তাঁর স্ত্রী পল্লবী জোশী কার্লি টেলস শোতে হাজির হয়েছিলেন। যখন বিবেককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তার স্ত্রী কি তাকে এমন কোনও মহারাষ্ট্রীয় খাবার খেতে শিখিয়েছেন যা তিনি খুব পছন্দ করেন? এর উত্তর দেন পল্লবী। তিনি বলেন, 'আমি আপনাকে মহারাষ্ট্রীয় খাবারের কথা বলি। আমি যা রান্না করতাম তা বিবেকের পছন্দ হত না কারণ ওহ ভাবত এগুলো গরিবদের খাবার। মারাঠি খাবার এত সহজ, আমরা কেবল সমস্ত সবজি হালকা ভাজি এবং সেগুলি খাই। সারা জীবন ওহ আমাকে বলতেন, 'এটা গরিবদের খাবার' আর এখন বিবেক সেই খাবার খেতে শুরু করেছেন কারণ ওহ সেই খাবারের উপকারিতা বুঝতে পেরেছে'।
বিবেক দিল্লির ছেলে। সেখানে বাটার চিকেন খেয়ে বড় হয়েছেন। বিবেক বললেন, 'আমি দিল্লি থেকে এসেছি, ওখানে বাটার চিকেন, কাবাব তন্দুরি আছে... তার উপরে মশলা, ঘি…। নতুন বিয়ে হল,বউ বলল চলো ভাই খাই। আমিও বললাম চল ভাত খাই। সেখানে নুন নেই, সেটাও উপরে ঢালতে হবে। উপরে লেবুও ঢালতে হবে। তারপর তরকারি খান। ভেবেছিলাম তরকারির ওপরে ঘি থাকবে, লাল লঙ্কা। মারাঠি মানুষের তরকারি অনেকটা হেলথ ফুডের মতো। তৃতীয় সমস্যা হলো, যে দেয়, সে অল্প অল্প করে দেয়। এখন বোঝা যাচ্ছে, খাবার যাতে নষ্ট না হয়, তাই এমনটা করে। কিন্তু দিল্লিতে কেউ যদি মুরগির মাংস খেয়ে ২-৩ পিস ফেলে না দেন, তাহলে তো ঐশ্বর্যই নেই।
পরে বিবেক বলেন, 'আমি সেই (দিল্লির) সংস্কৃতি থেকে এসেছি, স্বাভাবিকভাবেই এই সংস্কৃতি (মহারাষ্ট্রের) দেখ হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, ‘ওরা কৃষকদের মতো গরিব খাবার খায়। আস্তে আস্তে ওহ (বিবেকের স্ত্রী) উত্তর ভারতীয় খাবার আপন করে নিলেন, কিন্তু আমি এখন আর সেই সব খাবার খাই না। এখন এ ধরনের সাধারণ খাবার খাই। আমি মনে করি এটি খাওয়ার সেরা উপায়। মহারাষ্ট্রের থালি খুব লাভজনক, স্বাস্থ্যকর এবং ভাল।’