'পিঙ্ক', 'থপ্পড়', 'বদলা', 'সান্ড কি আঁখ', 'মুলক' এবং 'সাবাশ মিঠু'- র মতো ছবিতে কাজ করেছেন তাপসী পান্নু। তিনি যে একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী তা বলাই বাহুল্য। তাপসী পান্নু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে রাজনীতির অদ্ভুত সম্পর্কের কথা।
তাপসী পান্নু
'পিঙ্ক', 'থাপ্পাড', 'বদলা', 'সান্দ কি আঁখ', 'মুলক' এবং 'শাবাশ মিঠু'- এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন তাপসী পান্নু। তিনি যে একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী তা বলাই বাহুল্য। তাপসী পান্নু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতির অদ্ভুত সম্পর্কের কথা।
এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁর সমবয়সীদের মধ্যে প্রচলিত নীরবতার পিছনে থাকা কারণগুলি ব্যাখ্যা করেছেন। পাশাপাশি তিনি এও জানান, এ মত তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত, এক্ষেত্রে হয়তো অনেকেই ভিন্ন মত পোষণ করেন।
'পিঙ্ক'-এর অভিনেত্রী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্তর্নিহিত রাজনীতি নিয়ে প্রথমে কথা বলতে শুরু করেন। তারপর তিনি উল্লেখ করেন যে, অভিনেতারা প্রায়শই দর্শকদের মন্তব্যের ভয়ের বা তাঁদের সঙ্গে ভিন্ন মতাদর্শ থাকার কারণে যে কোনও রাজনৈতিক ইস্যুতে নীরব থাকতেই পছন্দ করেন। তাঁর কথায়, 'সকলে চুপ থাকতে চায়, কারণ তাঁরা মনে করেন যে একটা সমস্যা নিয়ে কিছু মন্তব্য করলে, সেই মন্তব্য ঘিরে হয়তো আরও একটা বিতর্ক দানা বাঁধবে। তাঁদের মধ্যে একটা চাপ কাজ করে যে, তাঁদের সঙ্গে দর্শকদের প্রত্যাশার সামঞ্জস্য থাকবে কি না।'
তাপসী জানান, এই সব বিতর্ক এড়িয়ে চলার জন্যই মূলত তারকারা সমস্ত ধরনের রাজনৈতিক বিষয়ে নিজেদের মতামত রাখতে চান না। ইচ্ছে থাকলেও তাঁদের উপায় থাকে না, বিশেষ করে অভিনেত্রীদের, কারণ তাঁদের সবচেয়ে বেশি সমালোচনার শিকার হতে হয়। সামাজিক এবং রাজনৈতিক সমস্যাগুলির বিষয়ে মহিলাদের বুদ্ধিমত্তা বা সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, 'অনেকেই অভিনেতাদের আইকিউ কম বলে মনে করেন। অনেকের মতে তাঁরা খুব কম জানে, বিশেষ করে তিনি যদি একজন মহিলা হন। তারপর তাঁরা ভাবেন, এইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁদের মতামত দেওয়ার সাহস কীভাবে হয়। এই চিন্তা-ভাবনাই অভিনেতাদের কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে।'