৪০-এর গণ্ডি পেরিয়েও বাঙালি পুরুষ হৃদয়ের ধুকপুকানি বাড়ান এই সুন্দরী। টলিপাড়ার অন্যতম খ্যাতনামী। নাম করেছেন বলিউডেও। জনসমক্ষে তিনি ঠোঁটকাটা হিসাবেই পরিচিত। মনের কথা চেপে রাখেন না, তাঁর প্রাণখোলা মেজাজই তাঁর ইউএসপি।
পরনে হলুদ ফ্রক, ম্যাচিং পোশাকে ‘ফচকে বোনু’র হাত ধরে দাঁড়িয়ে মিষ্টি খুদে। মাথায় রজনীগন্ধার মালা ঝুলছে। ক্যামেরার দিকে তালিকে প্রাণখোলা হাসি। যেন এই বয়সেই সে জানান দিচ্ছে ভবিষ্যতে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়া মাতাবে। এই দুই খুদে টলিউডের নামী অভিনেতার কন্যা। বড় মেয়ে বাবার দেখানো পথে হেঁটে অভিনয়ে এলেও ‘ফচকে বোন’ সেই ট্রেন্ডে গা ভাসাননি।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হামেশাই চর্চায় থাকেন উপরের ছবির বড় মেয়েটি। মাত্র ১৮ বছরেই বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন। কলেজে পড়তে পড়েই মা হন। কিন্তু দু-বছরের ভাঙে সংসার। ছবির এই খুদে আর কেউ নন, সন্তু মুখোপাধ্যায় কন্যা, অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
বোন অজপা মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে পুরোনো ছবি শেয়ার করে জিয়া নস্টাল ‘পাতাল লোক’ অভিনেত্রীর। তিনি লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন বোনু… তুই ফচকেই থাক আজীবন, তোর অভিব্যক্তিই সব বলে দিচ্ছে। তোকে অনেকটা ভালোবাসি, গ্যালাক্সি পার করে…আরও (ভালো) বাসব’।
স্বস্তিকার ব্যক্তিগত জীবন হামেশাই থাকে চর্চায়। একটা সময় অভিনেতা জিৎ-এর সঙ্গে প্রণয় ডোরে বাঁধা পড়েছিলেন স্বস্তিকা। তবে টেকেনি সেই প্রেম। এছাড়াও সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুমন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে জীবনের নানান ধাপে সম্পর্কে থেকেছেন এই সুন্দরী।
১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। দু’বছরের মাথাতেই তার সংসার ভেঙে যায়। একমাত্র মেয়েকে কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন বাবার বাড়িতে। সেই থেকে মেয়ে অন্বেষাকে একা হাতে বড় করেছেন। এই বিয়ে নিয়েও কোনো আক্ষেপ নেই অভিনেত্রীর, তাঁর স্পষ্ট জবাব, এই সম্পর্ক না হলে তিনি মেয়ে অন্বেষাকেই যে পেতেন না! আজও ডিভোর্স হয়নি স্বস্তিকার।