প্রাথমিকভাবে নাকি মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ করেছিলেন। আর ফরেন্সিক পরীক্ষার পর সেই এইমসের বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান সুধীর গুপ্ত জানিয়েছেন, খুন হননি, আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। সেই ‘ইউ-টার্ন’ নিয়ে এবার সরব হলেন প্রয়াত অভিনেতার দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি। গত শনিবার সুশান্তের ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসে। তাতে সুশান্তকে খুনের তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হয়। সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন বলেই জানানো হয়। সংবাদসংস্থা এএনআইকে বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান বলেন, 'আমাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। এটা ফাঁস দেওয়ার ঘটনা এবং আত্মহত্যার জেরে মৃত্যু হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'ফাঁস ছাড়া সুশান্তের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃতের শরীর এবং পোশাকে লড়াই বা ধস্তাধস্তির কোনও নির্দশন নেই।'বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত চলবে। একাধিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি বলেছিল, ‘তদন্তে সবদিক খোলা আছে। অন্য কিছুর যদি প্রমাণ মেলে, তাহলে ৩০২ ধারা (খুন) যোগ করা হবে। কিন্তু তদন্তের ৪৫ দিনে সেরকম কোনও প্রমাণ মেলেনি।’তারইমধ্যে এইমসের বিশেষজ্ঞ দলের প্রধানের আগের একটি সাক্ষাৎকার (সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’) প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংবাদমাধ্যম। তাতে মুম্বই পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শোনা যায় তাঁকে। বলতে শোনা যায় যে ‘অপরাধের জায়গা ঠিকভাবে রাখা হয়নি’ এবং কীভাবে ‘তথ্যপ্রমাণ বিকৃত’ করা হয়েছে। একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটে (সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’) এইমসের দলের বিশেষজ্ঞ নাকি কুপার হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারের স্ক্রিনশট পোস্ট করে সোমবার সুশান্তের দিদি লেখেন, ‘এই ধরনের ইউ-টার্নের ব্যাখ্যা অবশ্যই দিতে হবে। কেন?’ যিনি জানিয়েছিলেন, এখন সব নজর সিবিআইয়ের দিকে আছে।