লাগাতার চারদিন ধরে রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করবার পর মঙ্গলবার সিবিআইয়ের জেরা করছে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তী ও সন্ধ্যা চক্রবর্তীকে।মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ডিআরডিও গেস্ট হাউজে হাজিরা দেওয়ার জন্য রিয়ার বাবা-মা'কে সমন পাঠিয়েছিল সিবিআই। নির্ধারিত সময়ের মিনিট পাঁচেক আগেই সিবিআইয়ের মুম্বই খাঁটিতে পৌঁছান রিয়ার বাবা-মা। আজ সিবিআই জেরা করবে না রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে। তবে পঞ্চমবার সমন করা হবে রিয়াকে তা নিশ্চিত। মুম্বইয়ে সিবিআই তদন্তের বারো নম্বর দিন সকালেই রিভিউ মিটিং করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এই বৈঠক শেষেই রিয়ার পঞ্চম সমনের নতুন দিন নির্দিষ্ট করেছেন তদন্তকারী দলের আধিকারকিরা। সুশান্তের সঙ্গে রিয়ার বাবা-মা'য়ের সম্পর্ক কেমন ছিল? সুশান্তের দুটি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে কেন যোগ দিয়েছিলেন ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তী ? কেন ইন্দ্রজিতের তালাবন্ধ ফ্ল্যাটে সুশান্তের দুটি কোম্পানির রেজিস্ট্রেশনের ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল ? সুশান্তকে কি কখনও কোনও ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছিলেন ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তী। এইরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইবেন তদন্তকারী অফিসাররা। রিয়া-শৌভিক হাজির না থাকলেও, এদিনও ফের ডিআরডিও গেস্ট হাউসে উপস্থিত হয়েছেন সুশান্তের ফ্ল্যাট মেইট সিদ্ধার্থ পিঠানি, এবং রাঁধুনি নীরজ।সোমবারের পর মঙ্গলবারও সুশান্ত মামলায়, হোটেল ব্যবসায়ীকে গৌরব আর্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে গৌরবের বেশকিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সামনে এসেছে, যেখানে ড্রাগ ডিলিংয়ের কথা উঠে এসেছে। সোমবার একটানা চতুর্থদিনের জন্য সিবিআইয়ের ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েন রিয়া। এদিন প্রায় ৯ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্তকে। এদিনও সিবিআইয়ের জেরার পর নিজের অ্যাপার্টমেন্টের নীচে পৌঁছেই গাড়ি ঘুরিয়ে ফের সান্তাক্রুজ পুলিশ থানায় হাজির হন রিয়া। এবং অভিযোগ জানান নিজের বিল্ডিংয়ের সামনে জড়ো হওয়া সংবাদমাধ্যমের ভিড় সম্পর্কে। সূত্রের খবর সোমবার সিবিআইয়ের আধিকারিকরা রিয়ার থেকে সুশান্ত মৃত্যু মামলার আর্থিক দিকগুলো নিয়ে প্রশ্ন করেন রিয়াকে। এদিন ডিআরডিও গেস্ট হাউজে হাজির হয়েছিলেন সুশান্তের ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা।