সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সুনিধি চৌহানের নতুন মিউজিক ভিডিয়ো 'আঁখ'। সানিয়া মালহোত্রা তো ছিলেনই সেই মিউজিক ভিডিয়োয়। তবে ৪১-এর সুনিধির থেকেও কিন্তু চোখ সরাতে পারেননি দর্শকরা। এই বয়সেও তাঁর মেদহীন টানটান ফিগার দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন সকলে। কিন্তু এর জন্য সুনিধিকে মাত্র ১০ দিনে কমাতে হয়েছিল ৫ কেজি ওজন। কীভাবে সম্ভব হয়েছিল তা? এবার সে রহস্যই ফাঁস করলেন গায়িকার ফিটনেস ট্রেনার বিরাজ শর্মালকর।
এই বয়সেও নিজেকে কীভাবে ধরে রেখেছেন গায়িকা? অনেকেরই ধারনা তার জন্য বোধ হয় তিনি খুব কঠিন ডায়েট করেন, বা প্রচুর শরীরচর্চা করেন। হ্যাঁ খাদ্যাভ্যাস সঠিক রাখা বা নিয়ম মাফিক শরীরচর্চার অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু বিরাজ শর্মালকরের মতে ডায়েটের পাশাপাশি ধারাবাহিকতার দিকেও সমান ভাবে নজর দিতে হবে। তাহলেই নিজেকে ফিট রাখা আরও সহজ হবে।
সুনিধির ফিটনেস ট্রেনার বিরাজ শর্মালকর জানিয়েছেন, সুনিধি মাত্র ১০ দিনে পাঁচ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন অভিনেত্রী সানিয়া মালহোত্রার সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক গ্ল্যামারাস ডান্স নম্বর 'আঁখ'-এর শ্যুটের আগে।
আরও পড়ুন: ‘একে অপরকে গালাগালিও করি, মনে হয় না যে আমরা স্বামী-স্ত্রী’, অকপট গোবিন্দার বউ
সুনিধির ফিটনেস দক্ষতা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, তিনি জানান, সুনিধি ৯০ কেজি ভারোত্তলোন করতে পারেন। ৭০ কেজি স্কোয়াট করতে পারেন এবং পুল-আপ করতে পারেন। মাত্র ২৫ মিনিটে নাকি পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ও শেষ করতে পারেন তিনি।
সুনিধির ডায়েট সিক্রেটস
বিরাজ জানিয়েছেন, সুনিধি তাঁর ডায়েটের অংশ হিসাবে দিনে ১২০০ ক্যালোরিরও কম খাবার খান। তিনি মাঝে মাঝে ফাস্টিং বা উপবাসও করেন। তাঁর এই 'উপবাসের অনুপ্রেরণা কেবল ওজন হ্রাস করাই নয়, বরং লিভারকেও বিশ্রাম দেওয়া।
আরও পড়ুন: ক্রিসমাসে রাস্তার মাঝেই ভাল্লুক জড়িয়ে ধরল রণজয়কে! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যারিশ্মায় নয়া অবতারে নায়ক
তাছাড়াও সুনিধি ইন্টারমিটেড ফাস্টিং করেন। দিনে ১৬ ঘণ্টা কিছু খান না, আর ৮ ঘণ্টার উইন্ডোতে সব খাবার খেয়ে থাকেন। তিনি তাঁর দিন শুরু করেন ডিম দিয়ে। তবে কখনও কখনও এক পিস সাওয়ার ব্রেডও খান।
সুনিধি তাঁর ডায়েট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘প্রোটিন ও ফ্যাট দিয়ে ফাস্টিং শেষ করতে হয়। এগুলি কার্বোহাইড্রেটের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার কেবল বিকেল ৫ টার দিকে খুব খিদে পায়। তাই ওই সময় আমি বাদাম খেয়ে থাকি, এটা আরও তিন ঘন্টা আমার পেট ভর্তি রাখে। যে দিনগুলিতে আমি ওয়েট লিফটিং করি, কেবল সেদিন গুলোতে আমি প্রোটিন শেক খাই। তবে এটা সপ্তাহে দু-তিন দিনই থাকে। আমি মোটামুটি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার মধ্যে আমার রাতের খাবার খেয়েনি।’