কিছু দিন আগে আচমকাই সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী পৃথা ওরফে সঞ্চারী চক্রবর্তী ঘোষণা করেন যে তিনি এবং অভিনেতা নাকি আর একসঙ্গে নেই। প্রথমে এই খবর ভুল বলে দাগিয়ে দেন সুদীপ, যদিও পরে স্বীকার করে নেন সবটাই সত্য। দুই সন্তানকে নিয়ে বর্তমানে আলাদা থাকছেন পৃথা। তবে সন্তানদের কারণে মাঝে মাঝে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়। এমনকী একটি ছবির প্রিমিয়ারেও তাঁরা একসঙ্গে গিয়েছিলেন। ফলে সবটা নিয়েই তাঁদের দিকে মাঝে মাঝেই ছুটে আসে কটাক্ষের তীর। তবে এবার একটি পোস্ট নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত সুদীপের প্রাক্তন সঞ্চারী। সেই পোস্ট ও ট্রোলিংয়ের তীব্র নিন্দা করে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেবকে ব্ল্যাকমেল করে রাজনীতি করাচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক দিলীপ
কী দেখা গিয়েছে?
কোনও একটি সংবাদ মাধ্যম তাঁদের প্রতিবেদনের হেডলাইনে লেখেন, ‘বিচ্ছেদের পরও অটুট বন্ধুত্ব: প্রাক্তন স্বামী সুদীপকে ‘দাদা’ বলে সম্বোধন পৃথার।’ এই হেডলাইনের পরিপ্রেক্ষিতে এক নেটিজেন সেই পোস্টটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, আমি যদি ডিভোর্স করি তাহলে কি আমার প্রাক্তনকে আমি 'বৌদি' সম্বোধন করতে পারব?' আর সেই পোস্টেই এক মহিলা কুরুচিপূর্ণ কমেন্ট করেন। তাছাড়া পৃথার অনেক চেনে পরিচিত সামজমাধ্যমের বন্ধু সেই পোস্টে হা হা রিঅ্যাক্টও দেন। আর এই সবটার জন্য ভীষণ ভাবে বিরক্ত তিনি।
সঞ্চারী সেই কুরুচিপূর্ণ পোস্টটি, ওই মহিলার কমেন্ট ও রিঅ্যাকশনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমি সাধারণত ট্রোলিং নিয়ে কিছু বলে আমার সময় নষ্ট করি না। কিন্তু যখন একজন মহিলা অন্য মহিলা সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন তা কেবল দুঃখজনক নয়, লজ্জাজনকও বটে। সত্যি বলতে, আপনার খেয়ে-দেয়ে কোনও কাজ নেই নাকি? আপনি এত বেকার ঘুরে বেড়ান যে এখন এই সব কাজের জন্য পরিশ্রম করতেও ভালো লাগে? তবে আত্মসম্মান কী হয় সেটা বোঝেন? জানি তার আশপাশ দিয়েও যান না। সম্মান না দেওয়া একটা জিনিস। কিন্তু আপনি এত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অসম্মান করতে কোথা থেকে শিখলেন? কেউ কি আপনাকে এর জন্য টাকা দিয়েছে? নাকি এটা আপনার পরিবারে বংশগত ভাবে পাওয়া সেই অমূল্য গুণগুলির মধ্যে একটি? আমি জানি না আপনি কোথায় জন্মেছেন, অথবা আপনি কোনও মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে উঠেছেন কিনা। সত্যি বলতে, আপনার কথা ভাবতে গেলে মনে হয় আপনি আদৌ বড় হয়েছেন কিনা। কিন্তু আপনার শব্দভাণ্ডার? অতুলনীয়। আপনার টোন? সব থেকে খারাপ বলে যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই এটাই। আমি আশা করি যে, একদিন আপনি আপনার কথাগুলো বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার থেকেও বেশি কিছুর জন্য ব্যবহার করবেন।’
আরও পড়ুন: ফের তৃণমূলে যোগ দিলেন রূপাঞ্জনা! 'মনে হচ্ছে স্বর্গ…' , ঘর ওয়াপসি পর বললেন নায়িকা
এরপর তিনি তাঁর সমাজমাধ্যম সূত্রে পাওয়া কিছু বন্ধু যাঁরা ওই পোস্টে হা হা দিয়েছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে লেখেন, 'আর হ্যাঁ আমি লক্ষ্য করেছি যে আমার বেশ কিছু ফেসবুক 'বন্ধু' কিছু পোস্টে হা হা রিঅ্যাক্ট করেছেন। তাই আজ, আমি একটু সময় নিয়ে তাদের সবাইকে আনফ্রেন্ড করেছি। আর যদি আপনাদের মনে হয় আপনারা নিজে আমাকে আনফ্রেন্ড করবেন তাহলে তাই করুন। এতে আমার কাজ সহজ হবে।'
তাছাড়াও বিচ্ছেদের পরও সুদীপ সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজকাল কেউ সহ-অভিভাবকত্বের অর্থ কী তা বুঝতেও মাথা ঘামায় না। তারা কেন, ঠিক? আর অভিনেতারা? সবসময় সফট টার্গেট। আপনারা যা ইচ্ছে বলুন, যে কোনও রায় দিন, কারণ, তাঁরা তো পাবলিকের সম্পত্তি, তাই না?!’