
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজির অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডলকে বিপ্লব করে বিয়ে করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পরিবারের অমতে কিন্তু সেই দাম্পত্য সুখের হয়নি। ৯ বছর এক ছাদের তলায় থাকলেও এক রাতের জন্য শান্তিতে সংসার করতে পারেননি বৈশাখী। ২০২২ সালের এপ্রিলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোজিৎ মণ্ডলের বিচ্ছেদে আইনি সিলমোহর দেয় আলিপুর আদালত। তবে কাগজে কলমে আলাদা হওয়ার আগেই মন আলাদা হয়েছিল দুজনের। আরও পড়ুন-‘তোর শরীরটাকে ভালোবাসতাম’, বলেছিল মনোজিৎ, ‘স্ত্রী হিসাবে ব্যর্থ’ আক্ষেপ বৈশাখীর
ডিভোর্সের আগেই শোভনের সঙ্গে 'যৌথ-যাপন' শুরু করেছেন বৈশাখী। শোভন-বান্ধবীর কথায়, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করেও তিনি মনোজিতের সঙ্গে সংসার করেছেন। কিন্তু স্বামী পর-নারীতে আসক্ত তা উপলব্ধি করার পরেই বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। নিউজ নাও-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বলেন, 'ও অন্য কারুর সঙ্গে সেটল করেছে কিনা জানি না।…. তবে চাইব আর কারুর পরিণতি যেন বৈশাখীর মতো না হয়। আমার সন্তানকে আমার কারণে যা দেখতে হয়েছে, সেটা যেন আর কাউকে দেখতে না হয়। ওর যদি ভবিষ্যতে কোনও সন্তান হয়, সে যেন দেখে তাঁর মা-কে বাবা সম্মান দেয়'। বাচ্চারা নিষ্পাপ, তাঁরা মা-কে চোখের সমানে অপমানিত হতে দেখলে সেটা তাঁদের বিকাশকে ব্যাহত করে, মত বৈশাখীর। ফের বাবা হলে যেন সেই সন্তানদের সঙ্গে তেমন আচরণ না করে যা রিলিনা (মহুল)-কে সইতে হয়েছে।
আক্ষেপের সুরে তাঁর সংযোজন, 'ও হয়ত খুব শিক্ষিত। কম বয়সে অনেক বড় জায়গায় পৌঁছেছে। কিন্তু মনোজিৎ না ব্রন ব্য়াচেলার (জন্মগত ব্য়াচেলার)। ও সংসার করার জন্য যে মানসিকতা…. ওর একটা গার্লফ্রেন্ড থাকলে খুব ভালো। স্ত্রী থাকলে যে অধিকার দিতে হয়, সেই অধিকার দিতে ওর আপত্তি। ওর স্ত্রীকে মনে হয় এমন একটা জায়গা যেটা শুধুমাত্র শারীরিক খিদে মেটানোর জায়গা। আবার সেই পুরুষের উপর যদি অন্য কারুর নজর পড়ে তাহলে ওর সবসময় মনে হবে স্ত্রী নিশ্চয়ই ওই পুরুষের সঙ্গে কোনও না কোনও সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে পড়ছে'।
এই বিয়ে তাঁর কাছে ছিল বিপ্লব, তাই সেই যন্ত্রণা আজীবনও ভুলবেন না বৈশাখী। মনোজিৎ মানসিকভাবে কোনওদিনই বৈশাখীর সঙ্গে ছিলেন না, অভিযোগ প্রাক্তন স্ত্রীর। সেই কারণেই ভাঙা সম্পর্ক নিয়ে কখনও আফসোস হয়নি মনোজিতের।
শোভন-বান্ধবী আরও যোগ করেন, ‘মনোজিৎ-কে সুখে রাখার জন্য আমি হেন প্রচেষ্টা নেই করিনি। যেখানে যেমন চেয়েছে তেমন থেকেছি। কোনও মেয়ের কী ভালোলাগে প্রচণ্ড মার খেয়ে কারুর সঙ্গে বিছানায় যেতে? কিন্তু আমার তাতেও মনে হয় তাতেও যদি ও শান্তি পায়। ওইটুকু সময় যদি আমাকে ভালোবাসে! যখন আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে, আমি প্রশ্ন করেছিলাম- কোনওদিন আমাকে ভালোবেসেছিলি? জবাব এসেছিল- তোর শরীরটাকে ভালোবেসেছিলাম।’ সেইসময় বৈশাখীর মনে হয়েছিল ‘শরীরের খিদে তো যে কেউ মেটাতে পারে। আমি স্ত্রী হিসাবে ব্যর্থ, নারী হিসাবেও ব্যর্থ। আমি চাইব আর কারুর যেন পরিণতি বৈশাখীর মতো না হয়’।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports