প্রায় ১৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার পর, সোনাক্ষি সিনহা জানান যে, তিনি নিজেকে বাস্তব রেখেছেন: ‘অনেক অভিনেতা বিভ্রান্ত হন, তাঁরা যা নন তা বিশ্বাস করেন। কিন্তু আমি যদি নিজেকে খাঁটিভাবে কারও কাছে দেখাতে পারি, তাহলে কেন নয়? যদি আপনি একটি মুখোশ ধরে রাখেন, তাহলে আপনার সমস্ত শক্তি সেটি ধরে রাখতে খরচ হয়ে যায়। আমি সেইভাবে খরচ হতে চাই না।’
একই চিন্তা তাঁর নতুন ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে। যদিও দীর্ঘ-ফর্মের কন্টেন্ট তাঁর কাছে অপরিচিত। সোনাক্ষি সিনহা বলছেন যে, প্ল্যাটফর্মটি তাঁকে একটি ফিল্টারহীন উপায়ে নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে সংযোগ করার জায়গা দিয়েছে। ‘যখন আপনি এমন কিছু খুঁজে পান, যা কাজ বা চাপের মতো মনে হয় না, তখন এটি মজার হয়ে যায়’, উল্লেখ করেন সোনাক্ষি।
‘যদিও লোকেরা মনে করতে পারে যে, আমি আমার পুরো জীবন সেখানে রাখছি, আমি আসলে তা করছি না। আমি শুধুমাত্র ততটুকুই প্রকাশ করছি যতটুকু আমি চাই। এটি আমার একটি ছোট অংশ, এটি আমার পুরো জীবন নয়,’ মত সোনাক্ষির। তিনি যোগ করেন, ‘মূলত ইউটিউব আমার কাছে নতুন জনসংযোগ (PR)-এর মতো। আমি আসলে নিজেকে সেইভাবে দেখাচ্ছি যেভাবে আমি দেখাতে চাই। সেভাবে নয় যেভাবে লোকেরা আমাকে দেখতে চায়। ’
সোনাক্ষির ভিডিওগুলিতে নিয়মিত দেখা যায় তাঁর স্বামী-অভিনেতা জাহির ইকবালকে। অভিনেত্রী সম্প্রতি জানান যে, স্বামীর সহজ-সরল দৃষ্টিভঙ্গি পাপারাজ্জিদের প্রতি তাঁর মনোভাবও পরিবর্তন করেছে।
‘আমি যখন বাইরে যাই তখন ক্লিক করাতে (ফোটো তোলাতে) চাই না, কারণ সেটি সম্পূর্ণ আমার সময়। কিন্তু জাহিরের সঙ্গে থেকে, আমি আরও নম্র হয়েছি। ওর মনোভাব হল, অভিযোগ করার পরিবর্তে, আসুন একটা ছবি তুলি, আর চলে যাই। ও খুব ইতিবাচক মানুষ। জাহিরের কারণে আমি আরও ভালো মানুষ হয়েছি।’, নিজের কথা শেষ করেন সোনাক্ষি।
কাজের ফ্রন্টে, সোনাক্ষীকে শেষ দেখা গিয়েছিল তাঁর ভাই কুশ এস সিনহার পরিচালনায় প্রথম ছবি নিকিতা রয়-এ। তবে সিনেমা কেরিয়ারের পাশাপাশি, সোনাক্ষি এখন চুটিয়ে উপভোগ করছেন বৈবাহিক জীবন।