সঙ্গীতশিল্পী শান-এর আবাসনে আগুন। মঙ্গলবার ভোর রাতে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সঙ্গীতশিল্পীর অনুরাগীরা। তাঁদের সকলের একটাই প্রশ্ন ছিল, শান ঠিক আছেন তো? অবশেষে ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন সঙ্গীতশিল্পী। কী জানালেন তিনি?
Hindustan Times-কে শান বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে সপ্তম তলায় আগুন লাগে। আমরা তখন ঘুমোচ্ছিলাম। রাত ১টার দিকে ঘুম ভাঙে। তখন ৭তলা ও নিচের অন্যান্য তলা থেকে বেশিরভাগ মানুষ তখন নিচে নেমে গিয়েছিলেন। আমাদের ছাদে যেতে বলা হয়েছিল, এদিকে ছাদে তখন তালাবন্ধ। আবার ধোঁয়াও ক্রমাগত বাড়ছিল। তাই আমরা ১৪ তলায় আমাদের প্রতিবেশী, মিসেস কাজীর বাড়িতে আশ্রয় নিই। দুর্ভাগ্যবশত, ওঁরাও আটকে গিয়েছিলেন। আমরা প্রায় ৪০ মিনিট সেখানে ছিলাম, যতক্ষণ না দমকলকর্মীরা আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে যান।’
শান আরও বলেন, ‘আগুনে সপ্তম তলা সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল। ষষ্ঠ ও অষ্টম তলা আংশিক পুড়ে গেলেও বহুতলের অন্যান্য অংশ তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আমাদের বাড়িও ঠিক আছে। আমরাও ঠিক আছি।’
প্রসঙ্গত, সোমবার মাঝরাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফরচুন এনক্লেভ বিল্ডিংয়ে ৭ম তলায় আগুন লাগে। যদিও সঙ্গীতশিল্পী এই আবাসনের ১১ তলার বাসিন্দা। ওই সময় সেখানকার বাসিন্দাদের অগ্নিপরীক্ষা ছিল কীভাবে তাঁরা নিরাপদে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারবেন। একই পরিস্থিতিতে পড়েন শানও। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন ও দমকলের অন্যান্য গাড়ি। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন-বয়স মাত্র ১১, এই বয়সেই বই লিখে ফেলল সহজ, ছেলের সাফল্যে গর্বিত মা প্রিয়াঙ্কা
আরও পড়ুন-মুম্বইয়ে শান-এর আবাসনে আগুন, ঘটনায় সময় নিজের ওই বাড়িতেই আটকে সঙ্গীতশিল্পী

ঘটনায় শান-এর স্ত্রী, উদ্যোক্তা রাধিকা মুখাপাধ্যায় বলেন, 'আমরা ভালো আছি। আমাদের ছোট ছেলে মাহি তখন বাইরে ছিল। তবে সোহমই (বড় ছেলে) আমাদের ঘুম থেকে তোলে। আমাদের দুজন গৃহকর্মী এবং দুটি পোষ্যকেও আমাদের উদ্ধার করতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে অনিবার্যভাবে আতঙ্ক থাকবেই। তবে আমরা যতটা সম্ভব প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করেছি। আমরা প্রথম যে কাজটি করেছিলাম তা হ'ল সমস্ত মেইন স্যুইচ অফ করা এবং ধোঁয়ার শ্বাসকষ্ট হ্রাস করার জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে আমাদের মুখ ঢেকে রাখা। আমরা তিনবার চেষ্টা করেছি উঁচু তলায় উঠতে। তবে ১৫ তলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিলাম, তবে ধোঁয়া এত বেশি ছিল যে আর এগোতে পারছিল না।
রাধিকা আরও বলেন, ‘বিশৃঙ্খলার মধ্যেও আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম, তবে শান A সোহমকে হ্যাটস অফ যে ওরা শান্ত ছিল। ওরাই দমকলে ও পুলিশকে ফোন করে। ওঁরা আশ্বস্ত করেন যে তাঁরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলেই রয়েছেন। আমি শ্রী আশীষ শেলারজিকেও (বিজেপি নেতা) ফোন করেছিলাম, উনি সমস্ত প্রয়োজনীয় সংস্থাগুলি সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করছেন, সাহস জুগিয়েছেন। দমকল কর্মী, পুলশ সুন্দরভাবে বিষয়টা আয়ত্তে আনেন।’
সবশেষে শান ও রাধিকা বলেন ‘ঈশ্বরের কৃপায়, ধোঁয়া এবং আগুন থেকে কোনও ক্ষতি ছাড়াই আমাদের বাড়ি ঠিক আছে’।