নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এইচটি সিটি দিল্লির মোস্ট স্টাইলিশ অ্যাওয়ার্ডে আপ নেতা রাঘব চাড্ডা পেলেন সবচেয়ে স্টাইলিশ রাজনীতিবিদের অ্যাওয়ার্ড। আর পুরস্কার নিতে যখন মঞ্চে উঠলেন, তখনও তাঁর থেকে চোখ ফেরানো দায়। পরেছিলেন নীল রঙের স্যুট, যা ডিজাইন করেছেন তাঁর মামা পবন সচদেব।
মঞ্চে উঠে বেশ খোলা মনেই নানা প্রশ্নের জবাব দিলেন রাঘব। এমনকী, পরিণীতিকে নিয়ে আসা প্রশ্নেও উত্তর এল আপ নেতার থেকে। রাঘবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বাড়িতে রেডি হতে কার বেশি সময় লাগে, তাঁর না তাঁর অভিনেত্রী বউয়ের।
জবাবে রাঘব বলেন, ‘এটা একটা ট্রিকি প্রশ্ন’! তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে, আমরা বিশ্বাস করি যে আপনি প্রস্তুত হতে যে পরিমাণ সময় নেন তা আপনাকে কতটা ভালো দেখায় তার সঙ্গে সরাসরি সমানুপাতিক। তাই তাঁকে সবসময় ভীষণ সুন্দর দেখায়, এবং আমি সর্বদা সময়ানুবর্তী!’ আর রাঘবের কাছ থেকে এই জবাব পেয়ে হাসির রোল ওঠে সঙ্গে সঙ্গে।
চলতি মাসে পরিণীতি চোপড়াকে সঙ্গে নিয়ে কপিল শর্মার নেটফ্লিক্স কমেডি শো-তেও হাজির হয়েছিলেন রাঘব। সেখানেও এরকমই মজার ঢঙে কপিলের কাছ থেকে আসা সব প্রশ্নের জবাব দিতে দেখা যায় তাঁকে।
কপিলের শো-তেই পরিণীতি জানান, লন্ডনে একটি ইভেন্টে রাঘবের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়েছিল। দুজনের দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাঘব তাঁকে পরের দিন ব্রেকফাস্ট ডেটের জন্য ডেকেছিলেন। তবে দুজনের প্রথম দেখা মোটেও একা হয়নি, আরও ১৫ জন ছিলেন। পরিণীতির সঙ্গে ছিল তাঁর ম্যানেজার। আর রাঘবের সঙ্গেও ছিল তাঁর দলবল। তবে অত লোকের মাঝেও প্রেমে পড়ে যান একে-অপরের। রাঘব ‘প্রথম দর্শনের প্রেম’ বলে উল্লেখ করেছেন সেই সাক্ষাৎকে।
পরিণীতি জানিয়েছিলেন যে, রাঘবের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করার পরেই পরিণীতি ফিরে এসে গুগলে তাঁর বয়স, বিবাহিত না অবিবাহিত, এমপি হিসেবে কী কাজ করতে হয়, এসব সার্চ করেন। তবে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন উচ্চতায়, কারণ পরিণীতি জানান যে, বরাবরই তিনি নিজের থেকে লম্বা ছেলে বিয়ের ইচ্ছে রাখতেন।
পরিণীতি এবং রাঘব ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের উদয়পুরের লীলা প্যালেস হোটেলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের বিয়েতে বিনোদন জগতের এবং রাজনীতির অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।