২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন গায়ক দুর্নিবার সাহা ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক ঐন্দ্রিলা ওরফে মোহর সেন। কিন্তু এই বিয়ে নিয়ে কম কটাক্ষ সহ্য করতে হয়নি দুর্নিবারকে। কারণ এটা ছিল দুর্নিবারের দ্বিতীয় বিয়ে। তবে বিয়ের পর তাঁদের কোলে আসে ছেলে ধিয়ান। তাঁকে সকলের সামনে খুবই কম আনেন মোহর-দুর্নিবার। কিন্তু যখন যখন খুদের দেখা মেলে তাঁকে আদরে ভরে দেন নেটিজেনরা। আর এবার বাবা-মায়ের সঙ্গে সুইমিং পুলের জলে জলকেলি করতে দেখা গেল ছোট্ট ধিয়ানকে। শুধু কি তাই বাবার সঙ্গে এই বয়সে পুলও খেলল সে।
আরও পড়ুন: 'কালো, ডাইনির মতো দেখতে…', ছোট থেকেই বডি সেমিংয়ের শিকার হয়ে আসছেন জনি-কন্যাা জেমি
ব্যাপার কী?
নিশ্চয়ই ভাবছেন ব্যাপার কী? তাহলে একটু খুলে বলা যাক। রবিবার মোহর তাঁর ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায় একটি পুল বোর্ডের উপর বসে ছোট্ট ধিয়ান বসে, তার সঙ্গে একাধিক বল নিয়ে খেলছেন দুর্নিবার। গায়কের পরনে ছিল একটি আকাশি রঙের টি-শার্ট। অন্যদিকে, খুদের পরনে ছিল একটি হলুদ রঙের পোশাক আর মাথায় ঝুটি বাধা ছিল। বেশ মিষ্টি দেখাচ্ছিল ধিয়ানকে।
তারপর ওই ভিডিয়োতেই ফের সুইমিং পুলে বাবা-ময়ের কোলে দেখা যায় খুদেকে। একদিকে বাবা অন্যদিকে মা তাকে ঘিরে রেখেছিল। আর সেই পুলের নীল জলে হাত পা ছুঁড়ে সাঁতার কাটার চেষ্টা করছিল।
আরও পড়ুন: অমিতাভের জন্যই 'মৃগয়া'য় কাজ করতে পেরেছিলেন মিঠুন? জানেন সেই গল্প? জেনে নিন
এরপরই ওই ভিডিয়োতেই তাকে ফের একটা খেলনা নিয়ে বাড়ির মেঝেতে বসে খেলা করতে দেখা যায়। তারপর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বেশ জোরে কয়েকবার মাথাও নাড়ে সে। ছেলের ভিডিয়োর কোলাজ পোস্ট করে মোহর ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমি কিছু রং পাঠালাম, তুমি কিছু রং পাঠিও।’ ধিয়ানের মিষ্টি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তা ভালোবাসায় ভরে দেন নেটিজেনরা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মীনাক্ষীর সঙ্গে মন্ত্র পড়ে বিয়ে সেরেছিলেন দুর্নিবার। যদিও আইনি বিয়ে হয় ২০১৭ সালেই। কিন্তু দুর্নিবারের সেই বিয়ে খুব একটা সুখের হয়নি। তাঁরা বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। তারপর ডিভোর্স হতে না হতেই ফের বিয়ে করেন মোহরকে, ফলে ধেয়ে আসে একাধিক কটাক্ষ-বিদ্রুপ। প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হন মোহরও। মোহর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাইলেই তাঁরা ট্রোলে জবাব দিতে পারেন। তবে নিজেদের ও পরিবারের মানসিক শান্তির কথা মাথায় রেখে আর বিতর্ক বাড়াতে চান না তাঁরা। এরপর কেটেছে বেশ খানিকটা সময়। বিয়ের আট মাসের মাথাতেই প্রেগন্যান্সির খবর জানিয়েছিলেন মোহর।