ডিসেম্বর মাসেই সাত পাকে বাধা পড়েন টেলি অভিনেত্রী পৌলমী দাস। যাকে এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে জি বাংলার মিত্তির বাড়ি ধারাবাহিকে। বিয়ের দ্বিতীয় মাসের বিবাহবার্ষিকীতে একটি পোস্ট শেয়ার করে নিয়েছিলেন তিনি। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে। সেখানে বরের সঙ্গে ধরা দিয়েছিলেন রোম্যান্টিক মেজাজে। আর তাতেই আপত্তি নেটপাড়ার। ট্রোল হলেন মারাত্মক।
১৭ নভেম্বর আইনি বিয়ে করেন পৌলমী। আর তারপর ৬ ডিসেম্বর ঘোরেন সাতপাকে। অভিনেত্রীর বর ইন্ডাস্ট্রির মধ্যেকার নয়, একেবারে দেখাশোনা করে হয়েছিল বিয়েটা। পাত্র-পাত্রী সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি স্বামী ঋদ্ধিমান মজুমদারকে। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, মা-বাবা বেশ কিছুদিন থেকেই বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তাঁকে। তাই শুভকাজ সেরে নেওয়াই ভাল বলে মনে করেন পৌলমী। আর পেয়েও যান নিজের মনের মানুষকে। সোলার এনার্জির স্টার্টআপ ঋদ্ধিমানের।
একটি রিল শেয়ার করেন পৌলমী সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে তাঁকে স্বামী ঋদ্ধিমানের সঙ্গে পাওয়া গেল খুব ঘনিষ্ঠ অবস্থাতে। একে-অপরকে আদরে ভরালেন পৌলমী ও ঋদ্ধিমান। স্বামীকে দেওয়ালে ঠেলে দেন অভিনেত্রী। তারপর অপলকে কিছুক্ষণ হারিয়ে যান একে-অপরের চোখে। আর সব শেষে ঠোঁটে পড়ে ঠোঁট। নাকে নাক ঘষা, গালে আদর করে হাত বোলানো, দুটোই চলে। আর এই ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখেন, ‘প্রথম দিন থেকে, ৬০তম দিন। প্রতিটা মুহূর্তই ভীষণ স্পেশাল। #AnniversaryMagic’।
তবে এই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো শেয়ার নিয়ে আপত্তি তুলল সোশ্যাল মিডিয়া। কমেন্টবক্সে একেবারে রে রে করে তেড়ে এল নেটনাগরিকরা। একজন লেখেন, ‘এটাও দেখতে হবে…’! আরেকজনের কটাক্ষ, ‘চাচার মনে কোনো ফিলিংস নেই! আনরোম্যান্টিক’।
যদিও এসব ট্রোলে কোনো পাত্তা দেননি পৌলমী। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন মিত্তির বাড়ি ধারবাহিকে। সেখানে বাড়ির মেজ বউ-এর চরিত্রে দেখ মিলছে তাঁর। বিয়ের ঠিক আগে দিয়েই শুরু হয়েছিল নতুন ধারাবাহিকের কাজ। বিয়েতে তাই এসেছিল মিত্তির বাড়ির তারকারা। নিমন্ত্রিত ছিলেন আদৃত, সোহেল, অনন্যারা।
বিয়ের আগে নতুন জীবন শুরু নিয়ে পৌলমীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘মনের মধ্যে অনেকগুলো আবেগ খেলা করছে। এত দিন এই বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থেকেছি। কাল থেকে আর রোজ এই বাড়িতে থাকা হবে না। যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আবার এটা একটা নতুন সূচনা। তাই আনন্দ হচ্ছে।’