সত্যজিৎ রায়ের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তা উদযাপিত হবে। শুক্রবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, কিংবদন্তি লেখক, চলচ্চিত্র নির্মাতার ১০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারত ও বিদেশে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে তাঁরা।মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনা করে, প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান হাইব্রিড মোড, ডিজিটালে এবং সরাসরি ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এবছর থেকে ‘সত্যজিৎ রায় লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন সিনেমা’ পুরস্কারটি দেওয়া হবে ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (IFFI-International Film Festival of India)-এর মঞ্চ থেকে। শুধু তাই নয়, ৭৪তম কান ফিল্ম ফেস্টভ্যালেও এবার থাকবে সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতিচারণা। তাঁর বিভিন্ন ছবি নিয়ে একটি বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। মুম্বইয়ের ন্যাশেনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমাতে এবার থেকে একটি বিশেষ এগজিগিশন থাকবে সত্যজিৎ রায়ের জীবন ও কাজের ওপর। তিনি এমনই এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যিনি বাংলা চলচ্চিত্র তো বটেই এমনকি পুরো উপমহাদেশের চলচ্চিত্রকে এক ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ২০০৪ সালে বিবিসির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তালিকায় তিনি ১৩তম স্থান লাভ করেছিলেন। ১৯২১ সালের ২ মে কলকাতা শহরের খ্যাতনামা রায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মূলত বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজের মধ্যে দিয়েই শুরু তাঁর কর্মজীবন। সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘পথের পাঁচালি’ থেকে বানানো তাঁকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খ্যাতি এনে দেয়। ‘চারুলতা’, ‘আগন্তুক’, ‘নায়ক’-এর মতন দুর্দান্ত সিনেমাগুলি তাঁরই সৃষ্টি।সিনেমার পাশাপাশি সাহিত্যেও ছিল অবাধ আচরণ। তাঁর সৃষ্ট ফেলুদা, প্রোফেসর শঙ্কু চরিত্রদু'টি আজও পাঠকের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। সোনার কেল্লা, জয় বাবা ফেলুনাথ-এর মতো বেশ কিছু নিজের লেখা উপন্যাসকে চলচ্চিত্রেও রূপ দিয়েছেন তিনি। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার তাঁকে ভারতরত্ন সম্মানে ভুষিত করে।