কদিন আগেই একটি ভিডিয়ো তুমুল ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্রকে হাতাহাতি করতে দেখা যায়। রীতিমতো পাওনা টাকা আদায়ের জন্য, এক ব্যক্তি ও মহিলাকে ‘হেনস্থা’ করতে দেখা যায় কাঞ্চনাকে। তবে এবার হঠাৎ বদলে গেল আলোচনা। কারণ জানা গেল যে, এসবই প্রচার কৌশল। নতুন ছবি আসছে ‘কপাল’, তারই প্রোমোশনের অঙ্গ ছিল এই ঘটনা।
কাঞ্চনাকে নিজেই সামনে আনলেন গোটা ঘটনা। বললেন, ‘শিয়ালদহ স্টেশনে সেদিন যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা আর কিছু নয়, আমার নতুন বাংলা ছবির প্রোমোশন। ছবির নাম কপাল। ১৯ সেপ্টেম্বর আসছে আমার ছবি কপাল। কারও অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ইচ্ছে আমার বিন্দুমাত্র ছিল না। তাও কেউ আঘাত পেলে আমি হাত জোর করে ক্ষমা চাইছি।’
আসলে কাঞ্চনার ভিডিয়ো একাধিক মানুষ শেয়ার করেন সোশ্যালে। এমনকী, রীতিমতো তোপ দেগেছেন নেটিজেনরা অভিনেত্রীর দিকে। নেতিবাচক মন্তব্যে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রীকে।
আসলে কাঞ্চনা চেয়েছিলেন, পথনাটিকার মাধ্যমে নিজেদের ছবির কথা দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে। কিন্তু সেই কৌশল যে ‘বুমেরাং’ হয়ে তাঁদের দিকে ঘুরে আসবে, তা বুঝতে পারেননি কাঞ্চনা।
মজার ব্যাপার হল যাঁদের সঙ্গে সেদিন অভব্য আচরণ করেছিলেন তাঁরাও হাসিমুখে কাঞ্চনার সঙ্গে!! ভাগ্যের পরিহাসে কখন কার কপাল বদলে যায় সেই প্রেক্ষাপটে গল্প বুনেছেন পরিচালক শুভেন্দু রাজ বোস। একজন জীবনযোদ্ধার গল্প বলবে কপাল। টাকার জন্য জীবন, না জীবনের জন্য টাকা? সেই প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যাবে কপাল ছবিতে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাঞ্চনা ছাড়াও রয়েছেন রাজা সরকার এবং সুকন্যা দত্ত। এখন দেখার পিআর স্টান্ট দিয়ে, চর্চায় আসা কপাল, প্রেক্ষাগৃহে কী প্রভাব ফেলে।