স্টার জলসায় নতুন মেগা ‘কম্পাস’ আসছে। এই মেগা ২৫ অগস্ট থেকে সন্ধ্যে ৬টা থেকে সম্প্রচারিত হবে। এই মেগায় অর্কপ্রভ রায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন নবাগতা পর্ণা চক্রবর্তী। মেগার অফার কীভাবে এল? ধারাবাহিকের কাজের জন্য নাকি চুলও কাটতে হয়েছে নায়িকাকে! সবটা নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় ধরা দিলেন পর্ণা।
প্রথম মেগা বলে কথা, কোথাও গিয়ে একটু ভয় ভয় লাগছিল কি? প্রশ্ন শুনেই অভিনেত্রী বললেন, ‘অবশ্যই আমার তো প্রথম প্রথম বেশ নার্ভাস লাগছিল। প্রথমে মনে হচ্ছিল হয়তো পারব না। কিন্তু তারপর যখন সেটে গেলাম, হাতে চিত্রনাট্য পেলাম, সকলের সঙ্গে আলাপ হল তখন কিছুটা সাহস পেলাম। ভাবলাম করেই দেখা যায় একবার। তখন মনে হচ্ছিল, ‘আশা করি সকলের ভালোই লাগবে। আমি যেটা পারি, সেটা জানি সেটা সকলকে দেখানো যাক'। আর সেটা দেখে সকলে বললেনও, 'তুই খুব ভালো করছিস।' আর তাঁদের থেকে এতটা উৎসাহ পেয়ে দ্বিতীয় দিন আমার উত্তেজনা আরও খানিকটা বেড়ে গেল।'
তবে নায়িকার কাছে মেগার অফার এল কীভাবে? এই প্রশ্নে পর্ণা বলেন, 'আসলে আমি ঋষি মুখোপাধ্যায় ও স্বাগতা মুখোপাধ্যায়ের ছাত্রী। ওঁরাই আমাকে বিভিন্ন অডিশনে পাঠাতেন। এই মেগার অডিশনেও একই ভাবে আসা। তারপর নির্মাতা আমাকে জানান লুক টেস্টের জন্য আরও একদিন আসতে। সেই ভাবে আমি দ্বিতীয় দিনও যাই। তারপর আমাকে জানানো হয় যে, আমার লুক সিলেক্ট হয়েছে। তারপর ওঁরা আমার উপর আরও কিছু লুক দেখেন। আর এই ভাবেই আমাকে বেছে নেওয়া হয়।'
ধারাবাহিকে সত্যি নায়িকার লুক বেশ ভিন্ন। ববকাট চুল, গলায় মাফলার, চোখে চশমা। তবে জানলে হবেন এই বব কাট চুল কিন্তু একেবারে তাঁর নিজস্ব, এ কোনও পরচুলা নয়। এই প্রসঙ্গে পর্ণার থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'আসলে যেদিন ঠিক হয় যে আমার লুক সেট হবে, তার পরের দিন গিয়েই আমার চুলটা কাটিয়ে দেওয়া হয়। আমি সত্যি খুব অবাক হয়ে ছিলাম।'
আর মন খারাপ? হ্যাঁ তাও খানিক হয়েছিল নায়িকার। তিনি বলেন, 'আমার কোমর পর্যন্ত চুল ছিল, তাই শুরুতে একটু মন খারাপ তো অবশ্যই হয়েছিল। কিন্তু তার পরও মুহূর্তেই মনে হয় আমি নিজেকে প্রমাণ করার একটা সুযোগ পাচ্ছি, এর থেকে বড় কী হতে পারে?' ফলে চুল কাটার পরও যে নায়িকা বেশ খুশি তা তো বোঝাই যাচ্ছে।
আর তাঁর এই খুশির ঝলকই বোধ হয় বার বার প্রতিফলিত হয়েছে মেগার প্রোমোতে। তবে এই ধারাহিকের প্রোমো কিন্তু দার্জিলিংয়ে শ্যুট করা হয়েছে। প্রথম কাজেই আউটডোর কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল পর্ণার? প্রশ্নে নায়িকা বলেন, 'আমার খুব আনন্দ হয়েছিল। আমার জন্য এত আয়োজন করা হচ্ছে। এটা সত্যি আমার কাছে খুব বড় ব্যাপার। তাই আমি চাইব মন-প্রাণ দিয়ে, ভালো ভাবে কাজ করতে। যাতে কোনও দিক থেকে দেখে কারুর না মনে হয় যে, আমার দিক থেকে এক শতাংশও খামতি রয়ে গেল।'
মেগার ‘কম্পাস’ কলেজের ছাত্রী। তবে পর্ণা কিন্তু ইতিমধ্যেই স্নাতক। তিনি জার্নালিজম অনার্স নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন পাশ করেছেন। ধারাবাহিকের প্রোমোয় দেখানো হয়েছে 'কম্পাস' খুবই পড়ুয়া ও বুদ্ধিমতী, বাস্তবের পর্ণাও ঠিক তাই। তবে মেগায় 'কম্পাস' বন্ধুদের সাহায্য করতে চিটিং করলেও পর্ণা কিন্তু কখনওই নিজের জন্য হোক বা অন্য কারুর জন্য চিটিং করেননি।
এই সবের পাশাপাশি এই গল্পের মধ্যে ভালোবাসাও জড়িয়ে আছে। কিন্তু পর্ণার জীবনে কি প্রেম আছে বা কলেজে এমন প্রেম হয়েছিল? প্রশ্নে নায়িকা বলেন, 'না না, তা কিন্তু নয়। আমাদের মেগার গল্প কোনও প্রেমের গল্প না। এটা আসলে কীসের গল্প তা ২৫ তারিখ থেকেই স্টার জলসার পর্দায় দেখতে পাবেন দর্শকরা।'
তবে প্রেম থাকুক বা না থাকুক প্রফেসর তো আছে। আর সেই প্রফেসরের ভূমিকায় দেখা মিলবে অর্কপ্রভর। এর আগে অভিনেতা দুটি হিট মেগার নায়ক। ফলে কাজ করতে গিয়ে কি কোথাও ভয় দানা বেঁধে ছিল পর্ণার মনে? প্রশ্ন শুনে পর্ণা বলেন, 'প্রথমে ভয় লাগছিল। তারপর যখন আলাপ হল, কথা হল, তখন ভয়টা কেটে যায়। ওঁ ভীষণ মজা করতে পছন্দ করেন। আর আমাকে খুব গাইড করেন। আমার যদি কোনও জায়গায় আটকে যায় বা অসুবিধা হয় তখন আমি ওঁকে জিজ্ঞাসা করি। আমাকে ভীষণ সাহায্য করেন অর্কপ্রভ।'