একটা সময় নেটপাড়ার নজর কাড়ত তাঁদের ভালোবাসা মাখা ভিডিয়ো। নাচ শিখতে গিয়ে ধনশ্রীর প্রেমে পড়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল। বিয়েও করেন। তবে মাত্র ১৯ মাসেই সব শেষ। চলতি বছরের গোড়াতেই ডিভোর্স পর্ব মিটেছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি কম হয়নি।
ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল শিরোনামে এসেছিলেন যখন তিনি ধনশ্রী ভার্মার সাথে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের চূড়ান্ত শুনানিতে অংশ নেন ‘বি ইওর ওন সুগার ড্যাডি’ অর্থাৎ ‘নিজেই নিজের সুগার ড্যাডি হও’। এক পডকাস্টে নিজের এই পদক্ষেপের ব্য়াখ্যাও দিয়েছিলেন চাহাল। এবার পালটা জবাব মিলল।
এর প্রতিক্রিয়ায় ধনশ্রী স্বীকার করেছেন যে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। চাহালের প্রাক্তন স্ত্রীর কথায় যুজি যদি তাঁকে সত্যি কিছু জানাতে চান তবে এটি সর্বজনীন প্রদর্শনী না করে ব্যক্তিগতভাবে করা উচিত ছিল। চাহালের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়েও মুখ খুলেছেন ধনশ্রী৷ অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন ধনশ্রী৷
ইউটিউবে হিউম্যানস অফ বম্বের পডকাস্টে যোগ দেওয়ার সময় তিনি বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে কথা বলেন। ধনশ্রী জানান, চূড়ান্ত শুনানির সময় আদালতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। বিবাহবিচ্ছেদের চূড়ান্ত শুনানির দিকে ফিরে তাকিয়ে ধনশ্রী বলেন, ‘আমার এখনও মনে আছে যখন আমি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং রায় দেওয়া হচ্ছিল। যদিও আমরা মানসিকভাবে এত ভাল প্রস্তুত ছিলাম, তবুও আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। আমি সবার সামনে চিৎকার শুরু করলাম। আমি সেই সময়ে আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি না। আমার শুধু মনে আছে যে আমি কেবল কাঁদছিলাম, এবং কাঁদছিলাম।’
ধনশ্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের চূড়ান্ত শুনানির দিন চাহাল 'বি ইওর ওন সুগার ড্যাডি' লেখা টি-শার্ট পরে সবার নজর কেড়েছিলেন। ভাইরাল হওয়া মুহূর্ত প্রসঙ্গে ধনশ্রী বলেন, ‘আপনি জানেন যে লোকেরা আপনাকে দোষারোপ করবে। এই টি-শার্ট স্টান্টটি ঘটেছিল তা জানার আগেই আমরা সবাই সচেতন ছিলাম যে লোকেরা এর (ডিভোর্স) জন্য আমাকে দোষারোপ করবে। কোর্ট থেকে বেরোনোর পর চাহালের টি-শার্টের ভিডিয়ো দেখার স্মৃতিচারণ করেন ধনশ্রী। তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি এই পদক্ষেপে অবাক হয়েছিলেন, তাঁর কথায়- ’আরে ভাই, হোয়াটসঅ্যাপ কর দেতা। টি-শার্ট কিউ পেহনা হ্যায়?' (আপনার এটি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো উচিত ছিল। টি-শার্ট কেন পরবেন?
২০২০ সালের ডিসেম্বরে, করোনাকালে গুরুগ্রামে বিয়ে করেছিলেন দুজনে। আবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের জুন মাস থেকে তাঁরা আলাদা থাকছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মাসে তারা পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন পারিবারিক আদালতে। চলতি বছরের মার্চে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। শুনানি চলাকালীন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল ধনশ্রী খোরপোষে ৬০ কোটি টাকা দাবি করেছেন। যদিও ধনশ্রীর পরিবারের তরফে বিবৃতি দিয়ে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘খোরপোষের সংখ্যা নিয়ে যে ভিত্তিহীন দাবি প্রচার করা হচ্ছে তাতে আমরা গভীরভাবে ক্ষুব্ধ। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই- এ ধরনের কোনো অর্থ কখনো চাওয়া হয়নি, দাবি করা হয়নি বা প্রস্তাবও দেওয়া হয়নি। এসব গুজবের কোনো সত্যতা নেই।’