পাকিস্তানের পেশোয়ারে রাজ কাপুর ও ভারতের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের পৈতৃক বাড়ির সংস্কার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পরিচালক ড. আবদুস সামাদ জানান, সাত কোটি টাকা ব্যয় করে দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
ঐতিহাসিক আবাসগুলির নান্দনিক পুনরুদ্ধারের জন্য তহবিল প্রকাশ
খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার প্রকল্পের জন্য তহবিল প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে ঐতিহাসিক আবাসগুলির কাঠামোগত এবং নান্দনিক পুনরুদ্ধার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তরকে এই কাজের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যার লক্ষ্য ভবনগুলিকে তাদের মূল অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। প্রাদেশিক প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ উভয় কাঠামোকে কিংবদন্তি অভিনেতাদের জীবন ও ক্যারিয়ারের জন্য নিবেদিত যাদুঘরে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করেছে।
২০১৪ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এই বাড়িগুলোকে জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করেন। ঐতিহ্যবাহী পর্যটনকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ ডঃ সামাদের মতে, প্রকল্পের প্রাথমিক লক্ষ্য হ'ল প্রদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করা এবং ঐতিহ্যবাহী পর্যটনকে উন্নীত করা। এই উদ্যোগ স্থানীয় পর্যটনকে উৎসাহিত করবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এসব প্রকল্প প্রদেশের পর্যটন খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
প্রাদেশিক সরকারের পর্যটন বিষয়ক উপদেষ্টা জাহিদ খান শিনওয়ারি বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়ার সুন্দর সাংস্কৃতিক নিদর্শনকে বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের কেন্দ্রবিন্দু করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। দিলীপ কুমার এবং রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়ি পাকিস্তানের পেশোয়ারে ঐতিহাসিক কিসসা খোয়ানি বাজারে অবস্থিত। বিশ শতকের গোড়ার দিকে নির্মিত এই আইকনিক কাঠামোগুলি ঐতিহ্যবাহী ঔপনিবেশিক যুগের স্থাপত্যকে প্রতিফলিত করে এবং কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতাদের প্রাথমিক জীবনের সাথে গভীরভাবে আবদ্ধ। রাজ কাপুর এবং দিলীপ কুমার হিন্দি চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিত্ব যারা তাদের কালজয়ী অভিনয়, প্রভাবশালী চলচ্চিত্র এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ গঠনে অপরিসীম অবদানের জন্য সম্মানিত।