কৃষক মৃত্যু থেকে সরকারি হাসপাতালে অব্যবস্থা, অস্ত্র দুর্নীতি, 'মশালাদার' অ্যাকশনের আড়ালে 'জওয়ান'-এ সমাজের চিত্র তুলে ধরেছেন শাহরুখ। এমনকি ভেবেচিন্তে ভোটদান করে সরকার নির্বাচনের কথাও বলেছেন 'বাদশা'। এবিষয়ে অতি সম্প্রতি কিং খান নিজেও বলেছেন, ‘জওয়ান আসলে মানুষেরই কণ্ঠস্বর’। এবার এই একই বিষয়ে মুখ খুললেন পরিচালক অ্যাটলি।
'জওয়ান'-এ যে ভোটিং মেশিন সামনে রেখে ভেবেচিন্তে ভোটদান ও সরকার নির্বাচনের কথা বলেছেন শাহরুখ। যা নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস দুই রাজনৈতিক দলের তরজা অব্যাহত। একদল অপরদলের দিকে আঙুল তুলছেন। বিজেপি বলছে 'জওয়ান'-এ আসলে কংগ্রেসের দুর্নীতির কথা বলেছে, অন্যদিকে কংগ্রেস পাল্টা আঙুল তুলেছে বিজেপির দিকে। কেউ কেউ আবার এমন অভিযোগও করেছেন যে ‘জওয়ান’-এর এই ডায়ালগ প্রতিষ্ঠান বিরোধী। 'জওয়ান'-এর ভাইরাল মনোলগ, বিতর্ক নিয়েই 'ইন্ডিয়া টু-ডে'র কনক্লেভে মুখ খুলেছেন পরিচালক অ্যাটলি কুমার।
আরও পড়ুন-কৃষক মৃত্যু থেকে অস্ত্র দুর্নীতি! 'জওয়ান আসলে মানুষের কণ্ঠস্বর', প্রকাশ্যেই বললেন শাহরুখ
অ্যাটলি বলেন, ‘এটা কোনওভাবেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী নয়, আমি শুধু আমার আবেগের কথা বলছি। আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমিও নিজেও এই সমাজের একটি অংশ। আমি শুধু আমার সম্পর্কে কথা বলছি। আমার আবেগের কথা ছবিতে তুলে ধরেছি। আপনি যেভাবে চান সেটা গ্রহণ পারেন। এটি একটি সাধারণ দর্শকদের কণ্ঠ। এটা ভারতীয় আবেগের কণ্ঠস্বর। আমি কারোর দিকে ইঙ্গিত করিনি, আমি শুধু আসল বিষয়গুলি তুলে ধরেছি। একজন মানুষের জানা উচিত কাকে ভোট দিতে হবে এবং কীভাবে ভোট দিতে হয় এবং ম্যানুয়ালটি পড়তে হয়। আমি শুধু তুলে ধরেছি দায়িত্ব কী? এই সংলাপ দর্শকদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছানোটা দরকার। কীভাবে গোল করতে হয়, সেটা যদি একজন কোচ একজন ছাত্রকে শেখায়, তবে সেটা নির্দিষ্ট ম্যাচের জন্য নয়, এটি সারাজীবনের জন্য। তাই আমি বলব, আমার ছবি চিরকালীন একটা বার্তা দিয়েছে।’
অ্যাটলি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আমিও সংবাদ-মাধ্যমের অংশ। তাই দায়িত্ব সহকারে আমার বিনোদন দেওয়া উচিত। যদি এটা শুধুই বিনোদন হয়, তহলে মনে হবে আমি সঠিকভাবে আমার দায়িত্ব পালন করছি না। আমাদের চারপাশে কী ঘটছে এবং আমরা একটি সমাজ হিসাবে কী প্রতিরোধ গড়ে তুলছি, এটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি ছবিতে কিছু বাস্তব সমস্যা সম্পর্কে কথা বলেছি। কাকে ভোট দিতে হবে এবং কীভাবে ভোট দিতে হবে তা মানুষের জানা উচিত এবং ম্যানুয়ালটি পড়তে হবে। আমি শুধু দায়িত্ব কী সেটাই তুলে ধরেছি।’