বলিউডের ডিম্পল গার্ল তিনি। এখন স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘোর সংসারি প্রীতি জিন্টা। বিদেশে সংসার পেতেছেন, তবে দেশের হালহাকিত অজানা নয় পাঞ্জাব সুপার কিংস দলের মালকিনের কাছে। ভারতে ধর্ষণ যে হারে বাড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন নায়িকা। ধর্ষণ প্রসঙ্গে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির পদক্ষেপের প্রশংসা করে ভারতেও সেইরকম কঠোর আইন জারির আর্জি রাখলেন ‘সোলজার’ নায়িকা।
ইতালিতে যৌন অপরাধীদের বিশেষ রাসায়ানিক প্রয়োগের মাধ্যমে যৌন হরমোনের ক্ষরণ বন্ধ করিয়ে নপুংসক করার মতো আইনকে বৈধ ঘোষণার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে দেশের সরকার, সেই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেন প্রীতি। অভিনেত্রী এই পদক্ষেপকে ‘চমত্কার’ হিসাবে বর্ণনা করেন এবং ভারত সরকারকে দেশে যৌন অপরাধ মোকাবেলায় অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রস্তাবিত আইন সম্পর্কে
প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন ইতালীয় সরকার যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের রাসায়নিক প্রয়োগ করে যৌন ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ায় সায় দিয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে। ফার্স্টপোস্টের মতে, সেপ্টেম্বরে আইন প্রণেতারা সহিংস যৌন অপরাধীদের চিকিত্সার জন্য অ্যান্ড্রোজেন-ব্লকিং ড্রাগ ব্যবহারের আইন খসড়া করার জন্য একটি কমিটি গঠনের অনুমোদন দিয়েছেন। খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ডানপন্থী প্রশাসনের নেতৃত্বাধীন ইতালি সরকার ২০২২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা কঠোর করার জন্য চাপ দিচ্ছে।
প্রস্তাবিত আইনটি সম্পর্কে একটি পোস্ট করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে প্রীতি লিখেছেন, ‘কী দুর্দান্ত পদক্ষেপ! আশা করি ভারত সরকারও এরকম কিছু সময় করবে। আপনার কী মনে হয় বন্ধুরা? এ ধরনের অপরাধের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বনের এখনই উপযুক্ত সময়।’
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অবশ্যই। সহমত ১০০%। কিন্তু ভুয়ো অভিযোগের জন্য কী আইন রয়েছে? আমরা কি এর জন্য অনুরূপ শাস্তি আনতে পারি?’ অপর একজন লেখেন, ‘সঠিক কথাই বলেছেন, ধর্ষণের সাজা কখনও ৭ বছরের কারাবাস হতে পারে না’।
এই হেন একটি প্রস্তাব সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে। শীর্ষ আদালতে মামলাটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের মহিলা আইনজীবীদের সংগঠন। আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সেই আবেদনে। যেখানে বলা হয়েছে, নারকীয় ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের যৌন ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হোক। এই আবেদন নিয়ে কেন্দ্রের রায় জানতে চেয়েছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ান।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ সময় পর প্রীতি জিন্টা রুপোলি পর্দায় ফিরছেন। রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত লাহোর ১৯৪৭-তে দেখা যাবে তাঁকে। সানি দেওল ও আমির খানের প্রোডাকশনের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত 'লাহোর ১৯৪৭' ছবিটি গত অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। প্রবীণ অভিনেত্রী শাবানা আজমি এবং আলি ফজলও ১৯৪৭ সালের লাহোর ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন।