প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া টলিউডে। শেষ কয়েকবছর সেভাবে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও, জয় যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। যদিও ২০২১ সাল নাগাদ মনোমালিন্যের কারণে পদ্মশিবির ছেড়ে দেন।সোমবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি সম্প্রতি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বয়স হয়েছিল ৬২। এই মুহূর্তে অভিনেতার সঙ্গে রয়েছেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা। ১৫ অগস্ট ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। ১৭ অগস্ট ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে। অভিনেতার সহকারী ছোটু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন অভিনেতা। আপাতত জয়ের মরদেহ রয়েছে হাসপাতালেই। সোমবারই করা হবে শেষকৃত্য। ১৯৬৩ সালের ২৩ মে জন্ম জয়ের। বিদেশ সরকার পরিচালিত অপরূপা (১৯৮২) ছবিতে দেবশ্রী রায়ের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। কাজ করেছেন হীরক জয়ন্তী, জীবন মরণ, অভাগিনী, মিলন তিথি, সিঁথির সিঁদুরের মতো ছবিতে।জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির টিকিটে বর্তমান সাংসদ এবং টলিউড অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এরপর উলুবেড়িয়া থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে টিএমসি-র বর্তমান সাংসদ সাজদা আহমেদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।বিজেপিতে যাওয়ার আগে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকী বিজেপি ছাড়ার পরেও, কানাঘুষো ছিল জয় তৃণমূলে ফিরতে পারেন।একসময় অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরীর সঙ্গে রোম্যান্টিক সম্পর্কে ছিলেন জয়। দুই বাড়িতে মেনেও নেয় এই সম্পর্ক। বিয়ের কথাও হয়। তবে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ‘অভাগিনী’ আর ‘হীরক জয়ন্তী’ দুটো ব্লকবাস্টার ছবিতে কাজ করেছিলেন জয় আর চুমকি। তবে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে আর একসঙ্গে কাজ করেননি।