৬০ বছর বয়সী বলিউড তারকা আমির খান তাঁদের আসন্ন ছবি ‘সিতারে জমিন পর’-এ ৩৭ বছর বয়সী জেনেলিয়া ডি'সুজার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। তবে মজার বিষয় হল, আমিরই জেনেলিয়াকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর ভাগ্নে ইমরান খানের বিপরীতে 'জানে তু... ইয়া জানে না' ছবির হাত ধরে জেনেলিয়া বি-টাউনে পা রেখেছিলেন। সম্প্রতি অভিনেতা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২৩ বছরের বয়সের ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও পর্দায় জেনেলিয়ার সঙ্গে রোম্যান্স করার কথা খুলে বলেছেন।
আরও পড়ুন: সুইমিং পুলের নীল জলে ছোট্ট ধিয়ানকে সাঁতার শেখাচ্ছে বাবা-মা দুর্নিবার-মোহর! রইল ভিডিয়ো
জেনেলিয়ার সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্স, ঘনিষ্ট দৃশ্য, তাঁর বয়সের পার্থক্য নিয়ে কখনও চিন্তিত ছিলেন কিনা তা জানতে চাওয়া হলে আমির বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি জানি। কিন্তু সেটা অনেক আগের কথা। আর এখন ইমরান অনেকটা আমার মতোই হয়ে গিয়েছে (একরাশ হাসি হেসে জানান অভিনেতা)। এই চিন্তাটা আমার মনেও এসেছিল, কিন্তু ছবিতে আমরা দু’জনেই চল্লিশ বা তার আশে পাশের বয়সের চরিত্র হিসেবে ধরা দিয়েছি। আর ও এখন প্রায় ওই বয়সের।'
আরও পড়ুন: 'কালো, ডাইনির মতো দেখতে…', ছোট থেকেই বডি সেমিংয়ের শিকার হয়ে আসছেন জনি-কন্যাা জেমি
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বয়স ৬০, কিন্তু আজকের যুগে ভিএফএক্সের সুবিধা আছে। আগে, যদি আমি ১৮ বছর বয়সীর চরিত্রে অভিনয় করতাম, তাহলে আমাকে প্রস্থেটিক্সের উপর নির্ভর করতে হত। যেমন অনিল কাপুর ঈশ্বর (১৯৮৯) ছবিতে করেছিলেন। তিনি খুব ছোট ছিলেন, কিন্তু ৮০ বছর বয়সীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ওঁর বয়স অনেকটা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল, যা একজন অভিনেতার জন্য খুবই রোমাঞ্চকর। আজ, ভিএফএক্সের মাধ্যমে ওঁকে ৮০ বছর বয়সী দেখানো যায় এবং এর বিপরীতও দেখানো যায়। তাই, বয়স আর অভিনেতাদের জন্য বাধা নয়।’
সিতারে জমিন পর সম্পর্কে
এই স্পোর্টস কমেডি-ড্রামাটি হল আমিরের ২০০৭ সালের হিট ছবি ‘তারে জমিন পর’-এর সিক্যুয়েল। 'শুভ মঙ্গল সাবধান' খ্যাত পরিচালক আরএস প্রসন্ন পরিচালিত এই ছবিতে জেনেলিয়া আমিরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, পাশাপাশি ১০ জন নতুন অভিনেতা: আরুশ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুশ বনসালি, আশীষ পেন্ডসে, ঋষি শাহানি, ঋষভ মানস জৈন, সিমকরন, নান এই ছবির হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করলেন বিনোদনের দুনিয়ায় ।
স্প্যানিশ ছবি ‘ক্যাম্পিওনস’-এর রিমেক, এই ছবিতে আমিরকে একজন বাস্কেটবল কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে। যে একটা টুর্নামেন্টের জন্য প্রতিবন্ধী শিশুদের একটি দলকে প্রশিক্ষণ দেবে। ছবিটি ২০ জুন সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।