বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলা ভাষা ও ভাষাভাষির মানুষদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে। রাজ্যর বাইরে অনেক ক্ষেত্রে বাংলায় কথা বললে তাঁকে বাংলাদেশী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবার সেই সবটার প্রতিবাদ হয়েই যেন রাজশেখরের হাত ধরে ফিরছেন রাজশেখর বসু।
আর একটু খোলসা করে তবে বলা যাক। পরিচালক অভিজিৎ পাল ও তাঁর বন্ধুদের প্রযোজনায় আসছে রাজশেখর বসুর জীবন নিয়ে প্রথম তথ্যচিত্র ‘পরশুরাম, দ্য আনটোল্ড স্টোরি’। নামভূমিকায় দেখা যাবে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীকে। তিনি ছাড়াও রয়েছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, দেবশঙ্কর হালদার, প্রদীপ ভট্টাচার্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়, প্রসেন-সহ বাংলা বিনোদন জগতের জনপ্রিয় অভিনেতারা। সাহিত্যেকের ছেলেবেলার ভূমিকায় দেখা যাবে বিহান চন্দকে। রাজশেখরের বৌদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগতা শ্রেয়সী।

টাইটেল ট্রাক গেয়েছেন নচিকেতা। এছাড়াও 'মাটির গান' গেয়েছেন, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। তাছাড়াও সানাইয়ের কণ্ঠেও শোনা যাবে গান। এই তথ্যচিত্রের ক্যামেরার দায়িত্ব সুদক্ষ ভাবে সামলেছেন সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী। সংগীত নির্মাণ করছেন সপ্তক সানাই। এছাড়াও কম্পোজার হিসেবে কাজ করছেন কৌশিক মুখোপাধ্যায়।
এটি অভিজিৎ পালের পরিচালক হিসেবে প্রথম ডেবিউ ফিল্ম। ছবির নির্মাণ, গল্প, স্ক্রিপ্ট, লিরিক্স, ডায়লগ, কম্পোজিশন, লোকেশন, লুক সেট থেকে আর্ট ডিরেক্টর-সহ কিছু সব কিছুই একার হাতে সামলেছেন অভিজিৎ। রূপটান শিল্পী হিসেবে করেছেন সুব্রত মাইতি।

রাজশেখর বসু ‘পরশুরাম’ ছদ্মনামে, একসময় বাংলা ভাষায় বিপ্লব এনেছিলেন। এখানে দেখানো হবে রাজশেখর বসুকে খুঁজছেন বর্তমান সময়ের ফিল্মমেকার রাজশেখর চন্দ। 'রাজশেখর চন্দ'র চরিত্রে দেখা মিলবে প্রসেনের।
রাজশেখর বসু থেকে শশীশেখর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রফুল্ল চন্দ্র, কাজী নজরুল ইসলাম, অনুশীলন সমিতি, গিরিন্দ্রশেখর-সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রদের দেখা যাবে এই তথ্যচিত্রে। বর্তমানকাল ও স্বাধীনতা প্রাক্কালের এক আশ্চর্য সেতু বন্ধন করতে চলেছে এই তথ্যচিত্র। রাজশেখর কে নিয়ে এই ধরণের কাজ বাংলা তথা ভারতে প্রথম।

রাজশেখর বসুর বংশধর তাঁর প্রপোত্র শ্রী সৌম্য শঙ্কর বসু নানা তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন। এই ছবিতে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীকে যে চশমা ও ঘড়ি ব্যবহার করতে দেখা যাবে তা আসলে রাজশেখর বসুর নিজস্ব। এছাড়াও রাজশেখর বসু সম্পর্কে বিশিষ্ট সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, কাজী অনির্বান, শ্রী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, প্রখ্যাত ফিল্ম মেকার শ্রী সন্দীপ রায়, নাগরিক কবিয়াল শ্রী প্রসাদ রঞ্জন দাশ, শ্রী বিশ্বরঞ্জন দাস, শ্রী চন্দ্র কুমার বোস-সহ আরও বিশিষ্টরাও নানা তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন।