অভিষেক সব ঘটনা শুনেছিল আমার মায়ের কোলে বসে। অভিষেক তখন থেকে বলত ঝান্ডা নিয়ে এসে সিপিএম দিদিকে মারলে কেন তুমি জবাব দাও। সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম তো পরে এসেছে। পরিবারতন্ত্র নিয়ে যারা কথা বলছে তাদের মনে রাখা দরকার। এরপর পারিবারিক সেই ছবি আজ অভিষেকের হাতে উপহার হিসাবে তুলে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে। আর এই রায় দেওয়ার জন্য বিজেপি–কংগ্রেস–সিপিএম–আইএসএফ একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছে বলে মনে করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ, শুক্রবার কাকদ্বীপের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী পরিবারতন্ত্র নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছিলেন তার জবাবও দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সরাসরি বিজেপিকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি–সহ তৃণমূল পরিবারের অনেককে নিয়ে কুৎসা, অপপ্রচার এবং চরিত্রহনন করা হয়। অভিষেক আজ রাজনীতিতে আসেনি। ও রাজনীতি করে দু’বছর বয়স থেকে। ১৯৯০ সাল থেকে রাজনীতি করছে অভিষেক। সিপিএম যখন আমাকে মেরেছিল তখন আমি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পর অভিষেক সব ঘটনা শুনেছিল আমার মায়ের কোলে বসে। অভিষেক তখন থেকে বলত ঝান্ডা নিয়ে এসে সিপিএম দিদিকে মারলে কেন তুমি জবাব দাও। সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম তো পরে এসেছে। পরিবারতন্ত্র নিয়ে যারা কথা বলছে তাদের মনে রাখা দরকার।’ এরপর পারিবারিক সেই ছবি আজ অভিষেকের হাতে উপহার হিসাবে তুলে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এরপরই তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিয়ে আসার প্রসঙ্গে গর্জে ওঠেন। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন হঠাৎ করে বলা হচ্ছে সারা বাংলাতে সেন্ট্রাল ফোর্স দাও। বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর ছুঁতো খুঁজছে কেন্দ্রীয় সরকার। কোনও রাজ্যে এত শান্তিতে কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এর আগে বাংলায় হয়নি। চারটে দল এক হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মনিপুরে গিয়েছিল কী হয়েছে? কোনও রাজ্য আমাকে দেখান তো এত মনোনয়ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিতে পেরেছে কিনা। ভাঙড়ের ঘটনা গুন্ডারা করেছে। কী করেছে তোমার সেন্ট্রাল ফোর্স? ২০০৩ সালে ৭০ জন খুন হয়েছিল। বিএসএফ গুলি করলে কোথায় থাকে তোমার সেন্ট্রাল ফোর্স? কোচবিহার শীতলকুচিতে চারজনকে গুলি করে মেরেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী।’