বিধাননগরে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না বলে অভিযোগ করলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি এই এলাকার এপিজে স্কুলে ভোট দেন। তারপরই এই ভোটপর্ব নিয়ে একাধিক অভিযোগ তোলেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। নির্বাচনী ব্যবস্থায় বিশ্বাসী হলেও লড়াই করতে হচ্ছে ত্রিমুখী শক্তির সঙ্গে বলে জানান তিনি।
এদিকে আজ, শনিবার বিধাননগর পুরসভার নির্বাচনে তাঁর এজেন্টদের বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ করলেন বিধাননগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী। একাই মোটরবাইক নিয়ে ঘুরছেন প্রার্থী বিশ্বনাথ পাঁজা। অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত।
ঠিক কী বলেছেন শমীক ভট্টাচার্য? এদিন ভোটদানের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। অনেক জায়গাতেই বিজেপি কর্মী এজেন্ট, প্রার্থীরা আক্রান্ত। পুলিশ পর্যাপ্ত থাকলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। আমরা নির্বাচনী ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। কিন্তু এখানে আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে পুলিশ, তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। ত্রিমুখী এই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজেপি মাঠে আছে, থাকবে।’
বিধাননগর পুরনিগমের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সাধনা ঢালির বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিধাননগর পুরনিগমের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ স্মৃতি প্রাথমিক বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ১৯/১ নম্বর বুথে ইভিএম কন্ট্রোল ইউনিট মেশিন বদলের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির প্রার্থী সুনিতা ঘোষ এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকেছেন। বুথের ভিতরে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ১ নম্বর বোতামে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানার অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার রয়েছে।