পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামান ২০২৩ বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছেন অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংস। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংসের মধ্য একটি। ফখরের এই ইনিংসের সাহায্যে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি (ডিএলএস) ব্যবহার করে বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে ২১ রানে জিতে পাকিস্তান সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। সেই ম্য়াচে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ছয় উইকেটে ৪০১ রান তোলে। এর জবাবে পাকিস্তান ২৫.৩ ওভারে এক উইকেটে ২০০ রান করে পাকিস্তান এবং এভাবেই ম্যাচটি জিতে নেয় বাবর আজমরা।
চলতি বছরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এটি ফখরের চতুর্থ সেঞ্চুরি। এর আগে তিনি করাচিতে ১০১ রান, রাওয়ালপিন্ডিতে ১১৭ রান এবং অপরাজিত ১৮০ রান করেছিলেন। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার আশা ধরে রাখতে এই ইনিংসটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন ফখর জামান। ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার পাওয়ার পর ফখর বলেন, ‘এটি আমার সেরা সেঞ্চুরিগুলোর মধ্যে একটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আমার ১৯৩ রান আমি সবসময় মনে রাখব কিন্তু এটি আমার সেরা ইনিংসের মধ্যে একটি।’ নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফখর জামান বলেছিলেন যে তার দল প্রার্থনা করেছিল যে বৃষ্টি যেন অব্যাহত থাকে এবং ম্যাচ পুনরায় শুরু না হয়।
ফখর জামান বলেন, ‘ম্যাচটা যখন শুরু হয়েছিল তখন আমরা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম বৃষ্টি হবে এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করেছিল। আমরা ১৫ ওভারের পরে টিম ম্যানেজমেন্টকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলাম যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, তাই আমাদের বলুন ২০ ওভারে কত রান করতে হবে।’ যেভাবে সাজঘর থেকে বার্তা পেয়েছিল তারপর সেভাবেই খেলা শুরু করেছিল বাবর আজম ও ফখর জামান। নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পরে পাকিস্তানের ওপেনার জানিয়েছেন যে দল সেমিফাইনাল ও ফাইনালে উঠতে সফল হবে। পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার এই বিষয়ে আশাবাদী। ফখর জামান বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা আমাদের ছন্দ খুঁজে পেয়েছি।’ তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের টিম ও ম্যানেজমেন্টের ভালো দিক হল তারা ইতিবাচক থাকে। আমরা এখনও বিশ্বাস করি যে আমরা সেমিফাইনাল এবং ফাইনালও খেলতে পারব।’
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলনে ফখর জামান বলেন, ‘দলের সবাই সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমার ছুটির সময়, আমি বিশ্রাম করিনি। আমি দুই দিনের জন্য বাড়িতে গিয়েছিলাম এবং তারপর পেশোয়ারে আমাদের ফিল্ডিংয়ের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলাম।’ আফতাব খানের অ্যাকাডেমির কোচের কাছে যাই এবং সেখানে আমি অফ স্পিনের বিরুদ্ধে লড়াই করি। তিনি আমার সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। আমি নিয়মিত এখানে ব্যাটিং কোচের সঙ্গে অনেক কাজ করেছিলাম। আমি এই ইনিংসটি উৎসর্গ করতে চাই আফতাব খান এবং তার অ্যাকাডেমি এবং সেখানে একজন ছেলে ইব্রাহিমকে, যে আমাকে সাহায্য করেছিল। তিনি আমার দুর্বলতা দেখেছিল এবং আমার সঙ্গে খুব পরিশ্রম করেছিল। তিনি আমাকে অনেক সময় দিয়েছেন।’