কেএল রাহুল বর্তমানে আইপিএল ২০২৫ নিয়ে ব্যস্ত। এবার আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন রাহুল। নতুন মরশুমে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে তিনি ভালো ছন্দেই রয়েছেন। এসবরের মাঝেই একটি বড় সত্যি সামনে এসেছে। কেএল রাহুলের তাঁর সঙ্গে একটা সময়ে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল, কেন তাঁর মা তাঁর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন?
২০২৫ সালের ১৮ এপ্রিল ৩৩ বছর বয়সে পা রাখলেন রাহুল। আর তাঁর জন্মদিনের দিনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সামনে এসেছে। তখন রাহুলের বয়স সবে ১৬ বছর। সেই সময়ে তিনি এমন কিছু করেছিলেন, যেটা তাঁর মায়ের পক্ষে হজম করা কঠিন ছিল এবং তিনি তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: IPL-এ গড়াপেটার কালো ছায়া, দশ দলকেই সতর্ক করল BCCI, সন্দেহের তালিকায় হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী
খেলার জন্য বাবা-মায়ের সব শর্ত মেনে নিয়েছিলেন কেএল
ছোটবেলা থেকেই কেএল রাহুল খেলাধুলার প্রতি অনুরাগী। তিনি সব ধরণের খেলাই খেলতেন। রাহুলের বাবা কেএন লোকেশ এবং মা রাজেশ্বরী দু'জনেই শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। তবে রাহুলের বাবা সুনীল গাভাসকরের আবার বড় ভক্ত ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, তাঁর ছেলের খেলার ব্যাপারে তাঁর কোনও আপত্তি ছিল না। তবে, তাঁর একটা শর্ত ছিল। তিনি রাহুলকে বলেছিলেন যে, তাঁর খেলাধুলা যেন তাঁর পড়াশোনার উপর প্রভাব না ফেলে। যদি পড়াশোনার গ্রাফ পড়ে যায়, তাহলে খেলা বন্ধ করে দিতে হবে। কেএল রাহুল তাঁর বাবা-মায়ের এই শর্ত মেনে নিয়েছিলেন এবং জীবনে খেলাধুলা এবং পড়াশোনার মধ্যে দুর্দান্ত ভারসাম্য বজায় রেখেছিলেন।
ক্রিকেটে রাহুল দ্রাবিড় এবং স্টাইলে ডেভিড বেকহ্যাম
রাহুলের মা আবার কলেজে ইতিহাস পড়াতেন। তিনি কড়া শিক্ষিকাই ছিলেন। যে কারণে ১৬ বছর বয়সে ছেলের করা একটি কাজ তিনি মানতে পারেননি। আসলে, কেএল রাহুল, যিনি রাহুল দ্রাবিড়কে ক্রিকেটে তাঁর আদর্শ হিসেবে মনে করেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই জীবনযাপন এবং নিজেকে স্টাইলিশ দেখাতে পছন্দ করতেন। আর, ঠিক যেমন তাঁর ক্রিকেট হিরো রাহুল দ্রাবিড় ছিলেন, তেমনই তাঁর স্টাইল আইকন ছিলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম।
মা এই কারণে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন
কেএল রাহুলের শরীরে যে ট্যাটুগুলো রয়েছে, সেগুলি সবই ডেভিড বেকহ্যামের অনুপ্রেরণার ফল। রাহুল ১৬ বছর বয়স থেকেই শরীরে ট্যাটু করা শুরু করেন। সেই বয়সেই তিনি বাড়ির কাউকে না জানিয়েই তাঁর প্রথম ট্যাটুটি আঁকিয়েছিলেন। আর তাঁর মা, যিনি অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত, তিনি যখন এই কথা জানতে পারেন, তিনি মারাত্মক রেগে গিয়েছিলেন। তিনি রাহুলের উপর এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে, কিছুদিনের জন্য তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ছক্কা মারার মূল্য চোকালেন RR অধিনায়ক, রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরলেন সাজঘরে
রাহুল ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন্সে একটি সাক্ষাৎকারে গৌরব কাপুরকে বলেছিলেন, ‘যখন আমার ১৬ বছর বয়স, তখন বোর্ডের পরীক্ষা দিয়েছি, সেই সময়ে আমি বেঙ্গালুরুতে এসেছিলাম। আমাদের একটা জোনাল ক্যাম্প ছিল, সঙ্গে কিছু ম্যাচও। দু'-তিন মাস সেখানে ছিলাম। এবং যখন আমি বাড়ি ফিরে গেলাম, তার আগে পিঠে একটা বড় ট্যাটু করিয়েছিলাম, আর মা আমাকে জড়িয়ে ধরার সময়ে, আমি যন্ত্রণা হয়, তখনও সেটার ব্যথা ছিল, সবে করিয়েছিলাম বলে। মা জিজ্ঞেস করে, কী হয়েছে। আমি বলি, আমি একটা ট্যাটু করিয়েছি। তখন ট্যাটু ফুলে লাল হয়েছিল। সেটা দেখে মা বলে, এসব কী? তুমি বাচ্চা নাকি? আমি বলেছিলাম, এটা পার্মানেন্ট ট্যাটু। মা সে কথা বুঝতেই পারছিল না। বলেছিল, এটা বোকা বোকা বাচ্চাদের মতো, যাও গিয়ে পরিষ্কার করো।’ যাইহোক তার পর থেকেই রাহুল একের পর এক ট্যাটু করিয়েছিলেন গোটা শরীরেই।