IND vs AUS: পার্থ ছেড়ে অ্যাডিলেডে, তবুও হেজেলউডের বিতর্কিত মন্তব্যের সাফাই দিতে হল হেডকে

৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বর্ডার গাভাসকর ট্রফির দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। পার্থে প্রথম টেস্টে ভারতের কাছে ২৯৫ রানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্র্যাভিস হেড-স্টিভ স্মিথরা। তাই এখন অ্যাডিলেডে ঘুরে দাঁড়ানোই মূল লক্ষ্য তাদের। এদিন অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তেমনই বার্তা দিলেন অজি ক্রিকেটার ট্র্যাভিস হেড। তিনি জানান, অতীতেও অস্ট্রেলিয়া এরকম ভাবে শুরুতে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় তারাই ছিনিয়ে নিয়েছিল। এবারেও সেরকম কিছু হবে বলেই আশাবাদী হেড। অ্যাডিলেড টেস্ট খেলা হবে গোলাপি বলে। তাই বাড়তি চাপ থাকবে দু'দলের ওপরেই বলে মনে করছেন ট্র্যাভিস হেড। তিনি বলেন, 'গোলাপী বলের টেস্ট ক্রিকেট সব সময় চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি ভাবতে চাই না। আমার কাজ একটাই হবে, রান করা।'অন্যদিকে দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া তাদের অন্যতম সেরা পেসার জোশ হেজেলউডকে পাবে না। চোটের কারণে ছিটকে গেছেন তিনি। পার্থে বল হাতে দুরন্ত বোলিং করেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে হেড বলেন, 'অবশ্যই তাঁকে না পাওয়াটা একটা ধাক্কা, তবে আমাদের কাছে অনেক অপশন রয়েছে আরও। তারাও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি।'ট্র্যাভিস হেড স্বীকার করে নিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করাটা চ্যালেঞ্জিং। তিনি বলেন, 'সে এই মুহূর্তের অন্যতম সেরা বোলার। পার্থে ভালো বল করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাটিং করাটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং।' পার্থ টেস্ট হারের পর অজি শিবিরে বিভাজন তৈরি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছিল। সেই সব বিষয় আগেই খারিজ করেছিলেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এদিন হেডও সেই একই কথা বললেন। তিনি বলেন, 'আমরা বহুদিন ধরেই দল হিসেবে একসঙ্গে খেলছি। দলে কোনও বিভাজন নেই। এসব বিষয়ের কোনও সত্যতা নেই।'প্রসঙ্গত, বর্ডার গাভাসকর ট্রফির অধীনে মোট ৫টি টেস্ট খেলবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিরিখে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজে। ইতিমধ্যেই পার্থে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ভারত। ৬ ডিসেম্বর থেকে অ্যাডিলেডে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। এরপর ১৪ ডিসেম্বর থেকে ব্রিসবেনে শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট, ২৬ ডিসেম্বর থেকে মেলবোর্নে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট এবং ৩ জানুয়ারি থেকে সিডনিতে শুরু হবে পঞ্চম টেস্ট। বর্তমানে WTC-এর পয়েন্ট টেবিলে ১ নম্বরে রয়েছে ভারত। সেই স্থান ধরে রাখাই লক্ষ্য তাদের।