শুভব্রত মুখার্জি: গত রবিবার অর্থাৎ ৯ জুন হয়ে গিয়েছে ভারত বনাম পাকিস্তানের মহারণ। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এই ম্যাচে এক লো স্কোরিং থ্রিলারের সাক্ষী থাকেন দর্শকেরা।পাকিস্তানকে এই ম্যাচে মাত্র ৬ রানে হারিয়ে দেয় ভারত। জসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া সমৃদ্ধ ভারতীয় বোলিং অল্প রানেই আটকে দেয় পাকিস্তান দলকে। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় দল। একটা সময়ে তাদের রান ছিল ওভার পিছু আট করে। হাতে ছিল আট উইকেট। সেই অবস্থা থেকে ভারত তাদের শেষ সাত উইকেট হারায় মাত্র ৩০ রানে। এই অবস্থায় ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মহম্মদ সিরাজ করেন সাত রান। ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে এই সাত রান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত মহম্মদ সিরাজ। নেটে তাঁর ব্যাটিং নিয়ে কঠোর পরিশ্রম কাজে দেওয়াতে বেজায় খুশি ভারতীয় পেসার।
আরও পড়ুন: রিজওয়ানের মন্থর অর্ধশতরান, তবে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সুপার আটের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান
১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সিরাজ ৭ রান করেন। যার মধ্যে তিনটি দুই রান নেন তিনি। টি২০ ফর্ম্যাটে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এটি সিরাজের তৃতীয় ইনিংস। ঘটনাচক্রে সিরাজের টি২০ ফর্ম্যাটে এটি সর্বোচ্চ স্কোরও। ম্যাচ শেষে বিসিসিআই টিভিকে নিজের ইনিংস নিয়ে বলতে গিয়ে মহম্মদ সিরাজ বলেছেন, ‘নেটে আমি আমার ব্যাটিং নিয়ে অনুশীলন করি। কঠোর পরিশ্রম করেছি আমি আমার ব্যাটিং নিয়ে। তার ফল আমি পেয়েছি। কারণ আমি জানি, বর্তমান দিনের ক্রিকেটে টেল এন্ডাররা যা রান করে, তা খুব জরুরি। দলের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ। (পাকিস্তান) ম্যাচেও আমরা দেখেছি ওই রান কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। আমার সাত রান ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। আমি দলের জয়ে খুব খুশি। আমার সাত রান দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়াতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’
পাশাপাশি নিজের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে ও মুখ খুলেছেন সিরাজ। তিনি বলেছেন, ‘ভারত বনাম পাকিস্তানের লড়াই সব সময়ে খুব বড় লড়াই। খুব বড় একটা মঞ্চ। যেহেতু আমাদের রানটা খুব বেশি ছিল না তাই আমার পরিকল্পনা ছিল খুব বেশি কিছু বল নিয়ে পরীক্ষা করা যাবে না। সহজ, সরল লেন্থে বোলিং করাই ছিল লক্ষ্য। ব্যাটাররা যদি এর পরেও ঝুঁকি নিয়ে শট খেলে এবং রান করে, তাতেও আমরা ঘাবড়ে যাই নি। মনে করেছি, ওরা ভালো শট খেলেছে। আমি এক স্পটে বোলিং করার দিকেই মনোনিবেশ করি।’