আবারও শিরোনামে রাজস্থান রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চায় না এই আইপিএল দলের। কয়েক বছর আগের ঘটনা, কর্ণধার বেটিংয়ে যুক্ত থাকা এবং দলের ক্রিকেটাররা গড়াপেটায় জড়িয়েছিলেন। অজিত চণ্ডিলা, অঙ্কিত চহ্বন, শ্রীশান্তদের ক্রিকেট কেরিয়ার কার্যত শেষের পর রাজস্থান রয়্যালসেরও ২ বছরের জন্য শাস্তি হয়েছিল, ফলে তাঁরা আইপিএল থেকে নির্বাসিত ছিল।
এবার ফের একবার সংবাদ শিরোনামে সেই রাজস্থান রয়্যালস দল। তাঁদের বর্তমান কর্ণধার সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রাক্তন মালিক রাজ কুন্দ্রা নাকি তাঁদের ব্ল্যাকমেল করছে। বর্তমান কর্ণধারদের মধ্যে অন্যতম মনোজ বাদালে দাবি করেছেন ২০১৯ সালের গোপন চুক্তিভঙ্গের নাকি হুমকি দিয়েছেন কুন্দ্রা। অর্থাৎ শিল্পা শেট্টির স্বামী তাঁদের ব্ল্যাকমেল করছে বলে দাবি করেছে বর্তমান কর্ণধার গোষ্ঠী।
রাজ কুন্দ্রা কয়েকমাস আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি আইপিএলের রাজস্থান ফ্র্যাঞ্চাইজির আর্থিক কারচুপির বিষয়টি নাকি প্রকাশ্যে আনবেন। যদিও তখন অনেকেই বিষয়টিতে অতটা গুরুত্ব দেননি। শিল্পা শেট্টি এবং তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রা রাজস্থান রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজির ১১.৭ শতাংশ শেয়ার কিনেছিলেন, এরপর ২০১৫ সালে দলের নির্বাসনের পরই তিনিই শেয়ার হারান।
মনোজ বাদালের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেছেন গত মাসে হঠাৎ করেই নাকি রাজ কুন্দ্রা তাঁদের ক্লাইন্টকে ইমেল করে জানিয়েছেন, যে তাঁকে নাকি ঠকানো হয়েছে এবং আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলা হয়েছে। সেই ইমেলে নাকি রাজ কুন্দ্রা জানিয়েছেন যে ভারতের কর্তৃপক্ষকেও তিনি সব বিষয়টি লিখিত আকারে জানিয়েছেন এবং পরবর্তীতে বিসিসিআইকেও জানাবেন। এছাড়াও রাজ কুন্দ্রা নাকি সেই মেলে উল্লেখ করেছেন, যদি বর্তমান কর্ণধাররা চায় তাহলে তিনি নিজের শেয়ার ফিরে পেতে বা আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিয়েও বিষয়টি মিটমাট করতে প্রস্তুত।
মনোজ বাদালের আইনজীবীরা আরও দাবি করেছেন, যে রাজ কুন্দ্রা নাকি আইপিএলের ফাউন্ডার ললিত মোদীকেও বার্তা পাঠিয়ে বলেছেন, ‘বাদালে বুঝতেও পারেনি যে আমার ক্ষতি করতে এলে ওকে এর কত বড় দাম চোকাতে হবে ’। বর্তমান কর্ণধার বাদালের ৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে আইপিএলের এই দলে। মে মাসের ৩০ তারিখ আদালতের পক্ষ থেকেও রাজ কুন্দ্রাকে জানানো হয়, এখনই যাতে তিনি এই মামলা সংক্রান্ত কোনওরকম অযাচিত বক্তব্য না রাখেন।