এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতির চেয়ারে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব দেশের প্রতিনিধিদের পদে বসানো হওয়ায় সভাপতি হওয়ার সুযোগ পাবেন পিসিবির মোহসিন নকভি। পিটিআইকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বছর শেষের আগে এসিসির শীর্ষপদ থেকে জয় শাহ অব্যাহতি নেওয়ার পর পিসিবির প্রধান মোহসিন নকভি সেই চেয়ারে বসতে চলেছেন আগামী দুবছরের জন্য।
জয় শাহ। ছবি- পিটিআই
জয় শাহের আইসিসি চেয়ারম্যান পদে বসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ানের চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। যদিও তাতে অবশ্য জয় শাহের সামান্যতম সমস্যাও হয়নি আইসিসিতে কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান হিসেবে বসতে। এই আবহেই এবার জয় শাহের ফেলে যাওয়া আসনেই বসতে চলেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি মোহসিন নকভি।
আইসিসির শীর্ষপদে বসার জন্য যে চেয়ার ত্যাগ করছেন জয় শাহ, সেই একই পদে এবার বসতে চলেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান। আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচনের মনোনয়নের সময় দেখা যায় ১৬টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৫টি সদস্য দেশেরই সমর্থন ছিল বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহের দিকে। কারোর বুঝতে অসুবিধা হয়নি, জয় শাহ আইসিসির পদে বসার ক্ষেত্রে কার আপত্তি রয়েছে।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি পদে বসতে চলেছে মোহসিন নকভি। যদিও তাতে অবশ্য পাকিস্তান বোর্ডের কতটা লাভ হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গত এশিয়া কাপের সময় এসিসির শীর্ষপদে ছিলেন জয় শাহ। তিনি বিসিসিআইয়েরও সচিব ছিলেন। এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত করা হয়, এবং ভারতীয় দল নিজেদের ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের বাইরে অন্য দেশে।
অক্টোবর নভেম্বর মাসে এসিসির বৈঠকে তা চূড়ান্ত হতে চলেছে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব দেশের প্রতিনিধিদের এসিসির চেয়ারম্যান পদে বসানো হওয়ায় এই সুযোগ পাবেন নকভি। পিটিআইকে একটি সূত্র জানিয়েছে বছর শেষের আগে এসিসির শীর্ষপদ থেকে জয় শাহ অব্যাহতি নেওয়ার পর পিসিবির প্রধান মোহসিন নকভি সেই চেয়ারে বসতে চলেছেন আগামী দুবছরের জন্য। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে অবশ্য জয় শাহ চার বছরের জন্য সর্বসম্মতভাবেই সভাপতিত্ব করেছেন। প্রথমে তিন বছর নিজের টার্মে থাকার পর এক বছরের জন্য তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভারতীয় দল পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে পিসিবির প্রধান পদে পাকিস্তানের মন্ত্রীসভার সদস্য মোহসিন নকভির থাকা এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি পদে তাঁর আসা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কারণ তিনি কীভাবে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য রাজি করান এবং ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ যখন ভারতে হবে তখনই বা তিনি কি করেন, সেদিকেই নজর থাকছে সকলের।