আঁতে গা লাগতেই মেজাজ বদলাল পাক দলনায়ক শান মাসুদের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে যে, কাউন্টার ব্যাজবল খেলতে হবে তাঁদের, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি তাঁর। তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গত সিরিজের ভরাডুবি থেকে শিক্ষা নিয়ে মুলতানে ঝড় তোলেন মাসুদ। সেই সুবাদে গত এক দশকে পাকিস্তানের দ্রুততম টেস্ট শতরানকারীতে পরিণত হন তিনি।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় ওদেশে। এমনকি সাংবাদিক সম্মেলনেও কটাক্ষের শিকার হতে হয় মাসুদকে। পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন হিসেবে পরিস্থিতি নিতান্ত অসম্মানজনক হয়ে দাঁড়ায় তাঁর কাছে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই সিরিজে জবাব দিতে না পারলে যে মুখ রক্ষা হবে না, সেটা উপলব্ধি করেই ইতিবাচক ক্রিকেটে মন দেন তিনি। সোমবার মুলতানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে টসভাগ্য সঙ্গ দেয় পাকিস্তানকে। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান।
মুলতানের পিচে রানের হদিশ রয়েছে বুঝেই ইংল্যান্ডকে শুরুতে ব্যাট করতে ডাকার পথে হাঁটেননি মাসুদ। পরিবর্তে নিজেরাই বড় রানের ইনিংস গড়া শ্রেয় মনে করেন তিনি। সইম আয়ুবকে নিয়ে ওপেন করতে নামেন আবদুল্লা শফিক। তবে ওপেনিং জুটি পাকিস্তানকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়।
১০ বলে মাত্র ৪ রান করে আউট হন সইম। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শান মাসুদ ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে মাত্র ৪৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান ১০২ বলে। সাহায্য নেন ১০টি চার ও ২টি ছক্কার।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত এক দশকে এটিই কোনও পাক ব্যাটারের করা দ্রুততম শতরান। ২০১৯ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাবর আজম ১১৮ বলে সেঞ্চুরি করেন। এই সময়ের মধ্যে সেটিই ছিল কোনও পাক ব্যাটারের করা সব থেকে কম বলের টেস্ট সেঞ্চুরি। এবার শান মাসুদ বাবরের থেকেও কম বলে টেস্ট শতরান করলেন।