এডজবাস্টনে ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড ব্যাটার জো রুটের বিতর্কিত আউট নিয়ে এবার মুখ খুলল মরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। অনেক ক্রিকেট ভক্ত এবং ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন, আকাশ দীপের ওই ডেলিভারিটি নো-বল হওয়ায় রুটের আউট বাতিল হওয়া উচিত ছিল। তাদের দাবি, রুট বোল্ড হলেও, বল করার সময় আকাশ দীপের পিছনের পা ‘রিটার্ন ক্রিজ’-এর রেখা স্পর্শ করেছিল, যা নিয়ম অনুযায়ী নো-বল।
তবে এমসিসি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আকাশ দীপের বল আইনের মধ্যে ছিল এবং তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ছিল একেবারে সঠিক। তারা জানায়, প্রথম যে সময় পিছনের পা মাটিতে পড়ে, সেই মুহূর্তে পায়ের অবস্থানই বিবেচ্য, এবং সেই সময় পা ক্রিজের ভিতরে ছিল।
এমসিসি-র বিবৃতি বলা হয়েছে, ‘গত সপ্তাহে ভারতের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের টেস্টের চতুর্থ দিনে আকাশ দীপের একটি ডেলিভারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, যা জো রুটকে বোল্ড করে। অনেক ভক্ত ও ভাষ্যকাররা একে নো-বল বলে দাবি করেন।’
এমসিসি বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘যদিও দীপ একটু বেশি চওড়া জায়গা থেকে বল করেছিল এবং তার পিছনের পায়ের কিছুটা অংশ ক্রিজের বাইরে মাটি ছুঁয়েছিল, তৃতীয় আম্পায়ার এটিকে নো-বল ঘোষণা করেননি। এমসিসি স্পষ্ট করে দিতে চায়, আইনের দিক থেকে এটি সঠিক সিদ্ধান্ত।’
এমসিসি বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘পায়ের অবস্থান অনুযায়ী ডেলিভারির বৈধতা বিচার করার সময়, বল করার সময় পিছনের পা ‘রিটার্ন ক্রিজ’-এর মধ্যে পড়তে হবে এবং সেটি স্পর্শ করা চলবে না। এমসিসি সবসময় বলে এসেছে, যখন প্রথমবার পা মাটিতে পড়ে, তখনই সেটি ‘ল্যান্ড’ করে। যে মুহূর্তে পা মাটিতে ছোঁয়, তখন সেটির অবস্থানই গুরুত্বপূর্ণ— এবং সেই সময় আকাশ দীপের পা ক্রিজের ভিতরে ছিল।’
বিহারের ছেলে আকাশ দীপ ভারতের তরফে এই ম্যাচে বাজিমাত করেন। অভিজ্ঞ জসপ্রীত বুমরাহ না থাকলেও, ২৮ বছর বয়সি এই পেসার দারুণভাবে নজর কাড়েন। শুভমন গিলের নেতৃত্বে তরুণ ভারতীয় দল ৫৮ বছরের পুরনো এডজবাস্টনের ‘জিনক্স’ ভেঙে ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারায় এবং পাঁচ টেস্টের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফেরায়। ম্যাচে আকাশ দীপ ১০ উইকেট নেন, যার মধ্যে রয়েছে তার কেরিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট পাওয়া ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭১ রানে ইংল্যান্ড অলআউট হয়, যেখানে আকাশ দীপের ঝুলিতে যায় ৬টি উইকেট।