নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে হার দিয়ে ২০২৪ শেষ করে শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্গে তাদের ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে কিউয়িদের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে উত্তেজক জয় দিয়ে নতুন বছর শুরু করে শ্রীলঙ্কা। সেই সুবাদে সিরিজ হারের ব্যবধান কমিয়ে ২-১ করে সিংহলিরা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০২৫ সালের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেন শ্রীলঙ্কার কুশল পেরেরা। দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন তিনিই। এছাড়া শ্রীলঙ্কার জয়ে ব্যাটে-বলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন চরিথ আসালঙ্কা। নিউজিল্যান্ড হারায় জলে যায় রাচিন রবীন্দ্রর লড়াকু অর্ধশতরান।
নেলসনে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে টস জেতেন নিউজিল্যান্ড দলনায়ক মিচেল স্যান্টনার। তিনি শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান শ্রীলঙ্কাকে। সফরকারী শ্রীলঙ্কা শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২১৮ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
আরও পড়ুন:- India's Likely XI: ঋষভ পন্ত বাদ! গিল ফিরলে জায়গা ছাড়বেন কে? দেখুন ভারতের সম্ভাব্য একাদশ
শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্রুততম শতরান কুশল পেরেরার
কুশল পেরেরা ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৭ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান মাত্র ৪৪ বলে। সাহায্য নেন ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শ্রীলঙ্কার হয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে এটিই দ্রুততম শতরানের সর্বকালীন রেকর্ড। এত কম বলে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেননি শ্রীলঙ্কার আর কেউ।
কুশল এক্ষেত্রে ভেঙে দেন তিলকরত্নে দিলশানের রেকর্ড। দিলশান ২০১১ সালে পাল্লেকেলেতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫৫ বলে ব্যক্তিগত শতরান করেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে পেরেরা শেষমেশ ৪৬ বলে ১০১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
চরিথ আসালঙ্কা ৪৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। ২৪ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ১টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। এছাড়া পাথুম নিশঙ্কা ১৪, কুশল মেন্ডিস ২২ ও আবিষ্কা ফার্নান্ডো ১৭ রান করে আউট হন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি, জেকব ডাফি, জ্যাকারি ফোকস, মিচেল স্যান্টনার ও ডারিল মিচেল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২১১ রানে আটকে যায়। ৭ রানে ম্যাচ জেতে শ্রীলঙ্কা। রাচিন রবীন্দ্র ৩৯ বলে ৬৯ রান করে আউট হন। তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ডারিল মিচেল ১৭ বলে ৩৫ রান করেন। তিনি ১টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ২১ বলে ৩৭ রান করেন টিম রবিনসন। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ ওভারে ৫০ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন চরিথ আসালঙ্কা। ৪ ওভারে ৩৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ম্য়াচের সেরা হন কুশল পেরেরা। সাকুল্যে ৮টি উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন জেকব ডাফি।