ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অবস্থা মোটেই ভালো নয়। এই ম্যাচ যদি টিম ইন্ডিয়া কমপক্ষে ড্র করে নেয়, তাহলেও দলের জন্য ভালো। কারণ ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড প্রায় ২০০ রানের কাছাকাছি লিডে পৌঁছে গেছে। ফলে টিম ইন্ডিয়ার কাছে প্রধান কাজ হতে চলেছে পঞ্চম দিনের অন্তত দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত ব্যাটিং করা আর ২০০ রানের বেশি লিড নেওয়া। আর সেটা না হলে, পঞ্চম দিন গোটাটাই ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করে দেওয়া। যদিও ব্যাটারদের থেকেও ভারতীয় বোলারদের নিয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টারে।
সিরাজ ছাড়া ভারতীয় বোলারদের মধ্যে অধিকাংশ বোলারই ধীর গতিতে বোলিং করছেন। বুমরাহ ১ নম্বর টেস্ট বোলার হওয়ার সত্ত্বেও তিনি ১৩০-১৩৫ কিমির গতিবেগে বোলিং করছেন, অংশুল কম্বোজ তো আরও কম গতিতে বোলিং করছেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে পেস সব সময়ই বড় অস্ত্র হিসেবে প্রমাণিত হয়, সেখানেই টিম ইন্ডিয়ার পেস অ্যাটাক হঠাৎই মিডিয়াম পেস অ্যাটাকে পরিণত হওয়ায় ভারতের চাপও বেড়েছে, তা বলাই যায়।
প্রথম ইনিংসে জসপ্রীত বুমরাহ মাত্র ১ উইকেট নিয়েছেন এখনও পর্যন্ত। গোড়ালিতেও একটু বোধহয় ব্যথা রয়েছে ভারতীয় পেসারের। তিনি চতুর্থ দিনের ফাইনাল সেশনে বোলিং করলেও খুব একটা কার্যক ভূমিকা নিতে পারেননি। তাই এই পরিস্থিতিতে বুমরাহ হয়ত খুব শীঘ্রই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন বলেই মনে করেন কাইফ।
মহম্মদ কাইফ বলছেন, ‘জসপ্রীত বুমরাহকে দেখে আমার মনে হচ্ছে না যে ও আগামী টেস্ট ম্যাচগুলো খেলবে। আর ও অবসর নিয়ে নিতে পারে। ওর শরীর আর দিচ্ছে না। ওর শরীর হাল ছেড়ে দিয়েছে। স্পিডও কমে যাচ্ছে। এই ম্যাচে তো তেমন গতি দিয়ে বোলিংই করতে পারেনি। এমনিতে ও একদমই স্বার্থপর নয়। তাই ও যখন ১০০ শতাংশ দিতে পারছে না, আমার মনে হয় না যে ও দেশের জন্য জোর করে খেলা চালিয়ে যাবে। তাই আমার মনে হয় ওর টেস্ট অবসর নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ’।
কাইফ বলছেন, এবার ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের সময় এসেছে বুরমহাকে ছাড়াই টিম ইন্ডিয়ার খেলা দেখা অভ্যাস করতে। তাঁর কথায়, ‘ওর গতি কমলেও মনের জোর কমেনি। উইকেট নিয়েছে, ফিল্ডিংয়েও সেরাটা দিয়েছে। কিন্তু ফিটনেে পেরে উঠছে না। ওর ব্যর্থতা ভারতীয় দলকেও খুব ভোগাবে আগামী টেস্টগুলোয়। বিরাট রোহিত অশ্বিনের পর বুমরাহও চলে গেলে ভারতীয় ফ্যানদের এবার ওদের ছাড়াই খেলা দেখা অভ্যস্ত করতে হবে। আমি চাইব যাতে আমি ভুল হই, কিন্তু ওর খেলা দেখে আমার এটাই মনে হচ্ছে ’।