প্রাক মরশুম প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট বুচি বাবুতে ঝাড়খণ্ডের হয়ে মারকাটারি শতরান করেন ইশান কিষান। পরে দলীপ ট্রফির মঞ্চে ইন্ডিয়া-সি দলের হয়ে একটি দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন তিনি। এবার রঞ্জি ট্রফির মঞ্চে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডকে নেতৃত্ব দিতে নেমে অধিনায়কোচিত শতরান করেন ইশান। সব মিলিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে জাতীয় দলে ফেরার রাস্তা প্রস্তুত করছেন ঝাড়খণ্ডের তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটার।
আমদাবাদের এডিএসএ রেলওয়েজ গ্রাউন্ডে রঞ্জির এলিট-ডি গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে রেলওয়েজ ও ঝাড়খণ্ড। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ঝাড়খণ্ডের ক্যাপ্টেন ইশান কিষান। ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্তকে যথাযথ প্রমাণ করেন ঝাড়খণ্ডের ব্যাটাররা। প্রথম দিনেই বড় রানের ভিত গড়ে ফেলে ঝাড়খণ্ড। অবশ্য ব্যাট হাতে ক্যাপ্টেন নিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে।
ঝাড়খণ্ড প্রথম দিনে ৯০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩২৫ রান সংগ্রহ করে। দাপুটে শতরান করেন বিরাট সিং ও ইশান কিষান। ইশান ১১১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। সাহায্য নেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কার। তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান ১৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৫৭ বলে। যদিও ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেই আউট হয়ে বসেন ইশান কিষান। তিনি ১৫৮ বলে ১০১ রান করে আউট হন।
বিরাট সিং ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১৭৭ বলে ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে যান। সাহায্য নেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কার। বিরাট সিং প্রথম দিনে অপরাজিত ছিলেন ব্যক্তিগত ১০১ রানে।
দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে বিরাট সিং আউট হন ১২৮ রান করে। ২৫০ বলের অনবদ্য ইনিংসে তিনি ১২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া প্রথম ইনিংসে নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন ওপেনার নাজিম সিদ্দিকি। তিনি ১৩১ বলে ৯৬ রান করে আউট হন। মারেন ১৫টি চার। খাতা খুলতে পারেননি অপর ওপেনার আর্যমান সেন।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে উৎকর্ষ সিং মাত্র ৩ রান করে মাঠ ছাড়েন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কুমার সুরজ ৪৬ বলে ১৪ রান করে আউট হন। রেলওয়েজের হয়ে প্রথম দিনে ১৬ ওভার বল করে ৭২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন হিমাংশু সাঙ্গওয়ান। ১টি উইকেট নেন করণ শর্মা। দ্বিতীয় দিনে বিরাট সিংকে সাজঘরে ফেরান রজত নিরওয়াল।