সেমিফাইনালের টিকিট আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তাই স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুপার সিক্স রাউন্ডের শেষ ম্যাচটি ছিল ভারতের কাছে নিছক নিয়ম রক্ষার। খোলা মনে মাঠে নেমে ভারতের মেয়েরা ব্যাটে-বলে যে রকম তাণ্ডব চালায়, তাতে বাকি টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষ দলগুলি বাড়তি সতর্ক থাকতে বাধ্য।
মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার সিক্স রাউন্ডের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দেয় ভারত। শুরুতে ব্যাট করে ভারতীয় দল মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে দু'শো রানের গণ্ডি টপকে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে স্কটল্যান্ড কোনও রকমে পঞ্চাশ রানের গণ্ডি টপকেই অল-আউট হয়ে যায়।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ম্যাচে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শতরান করেন ভারতের ওপেনার গঙ্গাদি তৃষা। স্কটল্যান্ডের সব ব্যাটার মিলিয়ে তৃষার একার রানও তুলতে পারেনি। তৃষার শতরান ছাড়া স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাফ-সেঞ্চুরি করেন ভারতের অপর ওপেনার জি কমলিনী। তৃষা বল হাতেও নজর কাড়েন। এছাড়া ভারতের হয়ে দুরন্ত বোলিং করেন আয়ুশি শুক্লা ও বৈষ্ণবী শর্মা।
কুয়ালা লামপুরে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। চলতি বিশ্বকাপে এটিই সর্বোচ্চ দলগত ইনিংসের রেকর্ড। আর কোনও দল চলতি বিশ্বকাপের দু'শো রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি।
দাপুটে শতরান তৃষার
গঙ্গাদি তৃষা ওপেন করতে নেমে ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ বলে ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে যান। অর্থাৎ, হাফ-সেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে মোটে ২৬টি বল খরচ করেন তিনি। শেষমেশ ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে ১১০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন তৃষা।
অপর ওপেনার জি কমলিনী ৪২ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি সাকুল্যে ৯টি চার মারেন। ২০ বলে ২৯ রান করে নট-আউট থাকেন সনিকা চালকে। তিনি ৫টি চার মারেন। ভারত ১৮ রান উপহার পায় অতিরিক্ত হিসেবে। স্কটল্যান্ডের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন মাইজি মাসেইরা।
রেকর্ড ব্যবধানে জয় ভারতের
জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্কটল্যান্ড ১৪ ওভারে মাত্র ৫৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৫০ রানের রেকর্ড ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ভারত। চলতি বিশ্বকাপে এত বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতেনি আর কোনও দল। স্কটিশদের হয়ে পিপ্পা কেলি ও এমা ১২ রান করে সংগ্রহ করেন।
ভারতের হয়ে ৩ ওভার বল করে মাত্র ৮ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন আয়ুশি শুক্লা। ২ ওভারে ৫ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন বৈষ্ণবী শর্মা। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করা গঙ্গাদি তৃষা বল হাতেও চমক দেখান। তিনি ২ ওভার বল করে ৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা হন তৃষা।