নেট পরীক্ষা বছরে দু'বার হয়। একবার জুন মাসে, আর আরেকবার ডিসেম্বর মাসে। যাঁদের স্নাতোকোত্তরে ডিগ্রি রয়েছে তাঁরা এই নেট পরীক্ষায় বসতে পারেন। সেই পরীক্ষার স্কোর ঘিরেই বড় আপডেট দিল ইউজিসি।
নেট পরীক্ষার স্কোর দিয়েই পিএইচডিতে ভর্তি হবে চলতি বছরে, জানিয়ে দিল ইউজিসি। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে হিন্দুস্তান টাইমস)
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য বড় ঘোষণা করল ইউজিসি। ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন সদ্য জানিয়েছে, এই শিক্ষাবর্ষে শুধু নেট পরীক্ষার স্কোর দিয়েই ভর্তি হওয়া যাবে পিএইচডিতে। ফলে পিএইচডির জন্য আলাদা করে কোনও পরীক্ষা হবে না। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডিতে ভর্তির জন্য আলাদা করে পরীক্ষা আয়োজন করে। সেই জায়গা থেকে চলতি বছরে আলাদা করে পিএইচডিতে যাঁরা ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তাঁদের আলাদা কোনও পরীক্ষা দিত হবে না।
পিএইচডিতে ভর্তির জন্য প্রক্রিয়া যাতে সহজতর হয়, তা নজরে রেখেই এই নয়া পদক্ষেপে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন। উল্লেখ্য ২০২০ সালের নয়া শিক্ষানীতিকে মেনেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। গত ১৩ মার্চ এই পিএইচডিতে ভর্তি নিয়ে ইউজিসির হাইভোল্টেজ বৈঠক হয়েছে। সেটি ছিল কমিশনের ৫৭৮ তম বৈঠক। সেখানেই বিশেজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, নেট পরীক্ষা বছরে দু'বার হয়। একবার জুন মাসে, আর আরেকবার ডিসেম্বর মাসে। যাঁদের স্নাতোকোত্তরে ডিগ্রি রয়েছে তাঁরা এই নেট পরীক্ষায় বসতে পারেন। নেট দুটি বিষয়ের জন্য আয়োজিত হয়। একটি জুনিয়ার রিসার্চ ফোলোশিপ ও অপরটি সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য। আপাতত যা খবর তাতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য এই নয়া নিয়ম এনেছে ইউজিসি। নয়া নীতির ফলে তিনটি ক্ষেত্রের জন্য নেট পরীক্ষা দিলে পরীক্ষার্থীরা সুবিধা পাবেন।
নেট পরীক্ষা দিলে তিন ধরনের রাস্তা খোলা থাকবে, সেগুলি কী কী দেখা যাক:-
১) পিএইচডিতে ভর্তি হতে পারেন সঙ্গে থাকবে JRF ও সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের সুযোগ।
২) পিএইচডিতে ভর্তি হতে পারেন, JRF ও সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের সুযোগ ছাড়া।
তবে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য যে মেধাতালিকা তৈরি হবে, তাতে বেশ কয়েকটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলি হল, ৭০ শতাংশ গুরুত্ব দেওয়া হবে ইউজিসি নেট স্কোরে এবং বাকি ৩০ শতাংশ ইন্টারভিউতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ইউজিসির চেয়ারম্যান মামিদালা জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে জুন ২০২৪ সেশনের জন্য নেট পরীক্ষায় আবেদন প্রক্রিয়া চালু করার জন্য কাজ করছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।