সারা ভারতের মধ্যে নিটের টপার বাংলার পড়ুয়া। ফল প্রকাশের পর রিভিউ করতে দিতেই বাড়ল নম্বর। আর সেই নিরিখেই ভারতসেরার স্থান ছিনিয়ে নিল আসানসোলের কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়।
রিভিউ করতেই দেশের সেরা
জুন মাসে বেরিয়েছিল নিটের ফলাফল। বাংলার মধ্যে থেকে মাত্র তিনজন ছিল টপার লিস্টে। রানিগঞ্জের জেকে নগরের বাসিন্দা কল্যাণের ফলাফল আশানুরূপ ছিল না তাঁর কাছে। এরপরই তিনি রিভিউ করাতে দেন। রিভিউয়ের ফল বেরোতেই দেখা গেল, তিনিই ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। সোমবার সন্ধেয় খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই কল্যাণকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর কথায়, ‘শিল্পাঞ্চলের জন্য ইতিহাস রচিত হল।’
আরও পড়ুন - বুধে PG-তে আবেদনের শেষ তারিখ, সোমবার বেরোল কল্যাণীর UG-র ফল, দিশেহারা পড়ুয়ারা
দিল্লি এইমসে ভর্তি হয়েছেন কল্যাণ
ছোট থেকেই মেধাবী কল্যাণের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা একটি বেসরকারি স্কুলে। জুন মাসের রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায়, যতটা আশা করেছিলেন ততটা নম্বর ওঠেনি। এরপর রিভিউ করতে দেন। রিভিউয়ের রেজালট অনুযায়ী শুধু র্যাঙ্ক নয়, সারা দেশেই প্রথম কল্যাণ। ৭২০-এর মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৬৮৬। পদার্থবিদ্যা রসায়ন ও জীববিদ্যায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৯ শতাংশের বেশি। ইতিমধ্যেই দিল্লির এইমসে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন কল্যাণ। নিউরোসায়েন্স নিয়ে এমডি স্তরের পড়াশোনা শেষ করে প্রথম সারির ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন তাঁর চোখে।
আরও পড়ুন - OBC মামলার সুপ্রিম শুনানি সেপ্টেম্বরে! জয়েন্টের ফল নিয়ে কোন দিকে গড়াল জল?
সাফল্যের রহস্য শুধু ‘একমনে পরিশ্রম’
কল্যাণের বাবা ইসিএল সংস্থার কর্মী। মা গৃহবধূ। কল্যাণের এই সাফল্যের রহস্য কী? তাঁর বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বাড়ি থেকে কখনই পড়ার জন্য চাপ দেওয়া হত না। কল্যাণ নিজে থেকেই রাত জেগে পড়াশোনা করত। তার জন্য কখনও কখনও বাবা-মায়ের বকাঝকাও খেতে হয়েছে তাঁকে। এছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনে ভীষণ নিয়ম মেনে চলতে পছন্দ করে কল্যাণ। কখনও চকলেট খেয়ে মোড়ক বাইরে ফেলত না। কল্যাণ নিজে কী বলছেন এই সাফল্য নিয়ে? সংবাদমাধ্যমের সামনে এককথায় তাঁর জবাব ‘একাগ্রচিত্তে পরিশ্রম করলে ফল মিলবেই।’