মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম এলাকার এক কৃষক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন জেইই মেইনস ২০২৪ এর প্রথম স্থানাধিকারী নীলকৃষ্ণ। পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য গ্রাম ছেড়ে বহু দূরে নাগপুরে বসবাস করছিলেন নীলকৃষ্ণ। নাগপুরেই তিনি কোচিং নিতে থাকেন।
নীলকৃষ্ণ গজারে।
জেইই মেইন ২০২৪ এর রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে ২৫ এপ্রিল। ফলাফলে দেখা গিয়েছে, দেশের ৫৬ জন সেরার সেরা তালিকায়। এদিকে, জেইই মেইন পরীক্ষায় অল ইন্ডিয়া ব়্যাঙ্ক (AIR) এ প্রথম স্থান অধিকার করেছেন নীলকৃষ্ণ গজারে। মহারাষ্ট্রের কৃষক পরিবারের সন্তান নীলকৃষ্ণের স্বপ্ন রয়েছে বম্বে আইআইটি ঘিরে। নীলকৃষ্ণের পরই রয়েছে দক্ষেষ সঞ্জয় মিশ্র, তিনি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ও আরভ ভট্ট, তিনি তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
কীভাবে নিয়েছিলেন প্রস্তুতি?
মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম এলাকার এক কৃষক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন জেইই মেইনস ২০২৪ এর প্রথম স্থানাধিকারী নীলকৃষ্ণ। পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য গ্রাম ছেড়ে বহু দূরে নাগপুরে বসবাস করছিলেন নীলকৃষ্ণ। নাগপুরেই তিনি কোচিং নিতে থাকেন। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় নীলকৃষ্ণ ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। কীভাবে তিনি জেইইর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? প্রশ্নের উত্তরে নীলকৃষ্ণ বলছেন,'পরীক্ষা দিয়ে আমি নিজের পেপার খতিয়ে দেখতাম। যে বিষয়গুলিতে আমি দুর্বল তাতে ফোকাস বাড়িয়ে দিতাম। জেইই পাশ করতে বিষয় সম্পর্ক স্বচ্ছ্ব ধারনা খুব দরকার। এছাড়াও আমি রিভিশন খুব করতাম আর বারবার প্রশ্নগুলির উত্তর লিখতাম।' টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নীলকৃষ্ণ একথা জানিয়েছেন।
সাফল্য পেতে কীভাবে একের পর এক বাধা পার করতে হয়েছে নীলকৃষ্ণকে? উত্তর দিচ্ছেন জেইই মেইনসের কৃতী। নীলকৃষ্ণ বলছেন, 'আমার সফর যখন শুরু হয়েছিল, তখন প্রথম এক বা দুই মাস একটু… মানে দশম শ্রেণির তুলনায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস বেশ বড়। প্রথমে সবটা মানিয়ে নিতে গিয়ে একটু সমস্যা হয়েছে।' এরপর কীভাবে সামলেছেন নিজেকে? বলছেন নীলকৃষ্ণ, ‘প্রথমে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল মানিয়ে নিতে, তবে আমি হাল ছাড়িনি। আমি পড়ুয়াদের একথাই বলব, যদি সমস্যা আসে, যদি কখনও মনে হয় যে হচ্ছে না বা পারা যাচ্ছে না, তাহলে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে, ভালো জিনিস ঠিক হবে। ’